ঢাকা, ২৪ আগস্ট- একটা সময় তার নামের পাশে সেঁটে গিয়েছিল টেস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা। বলা হচ্ছিল, মুমিনুল হক সীমিত ওভারের ক্রিকেটটা সেভাবে খেলতে পারেন না। আসলে যে কয়টা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সেই মুমিনুলকে এখন আবার ভাবা হচ্ছে ওয়ানডের তিন নাম্বার পজিশনের সেরা বিকল্প! আসলে এক আয়ারল্যান্ড সফরই বদলে দিয়েছে মুমিনুলের সম্পর্কে নির্বাচকদের ধ্যান-ধারণা। বাংলাদেশ এ দলের হয়ে চোখ ধাঁধানো ক্রিকেট খেলেছেন এই লিটল জিনিয়াস। দলের অধিনায়ক ছিলেন। ব্যাট হাতে পারফর্ম করেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়ানডেতে ১৮২ রান, চাট্টিখানি কথা তো নয়! যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই এমন একটা ইনিংস খেলা কঠিন। মুমিনুল যেটা খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের বিরূপ কন্ডিশনে। তিন নাম্বার পজিশনে নেমে বলতে গেলে প্রতিটি ম্যাচেই দলকে ভরসা দিয়েছেন তিনি। আর জাতীয় দলে তো এই তিন নাম্বার পজিশনটা নিয়েই দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা নির্বাচকদের। সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস কিংবা সৌম্য সরকার-একেক বার একেক জনকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। কেউই সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেননি। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিব আল হাসান তিন নাম্বারে খুব ভালো করেছেন। তবে সাকিবকে নিয়ে অন্য একটা সমস্যা। দলের অন্যতম সেরা বোলারও তিনি। তিন নাম্বারে ব্যাটিং করে পরে পুরো ১০ ওভার বল করাটা তো কঠিনই হয়ে যায় সাকিবের জন্য। এর মধ্যে আবার আঙুলে অপারেশন করাতে হবে সাকিবকে। এশিয়া কাপে তাই দলে থাকার সম্ভাবনা কম টাইগার অলরাউন্ডারের। সাকিব যদি শেষপর্যন্ত না খেলেন, তবে তিন নাম্বারে খেলার দরজা খুলে যেতে পারে মুমিনুলের। তাকেই সবচেয়ে যোগ্য বিকল্প ভাবা হচ্ছে। মুমিনুল নিজেও মনে করছেন, সীমিত ওভারের আগ্রাসী ক্রিকেটটা আয়ত্ত্ব করতে শিখে গেছেন এখন। আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে যেটি তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করছেন এই বাঁহাতি, আমার মনে হয়, আয়ারল্যান্ড সিরিজটা আমার জন্য দারুণ একটি শিক্ষণীয় সফর ছিল। এটা আমাকে সামনের দিনগুলোতে সাহায্য করবে। আমি শিখেছি কিভাবে ভিন্ন কন্ডিশনে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হয়। আমার জন্য যেটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। আগে আমার হাতে খুব কম শট ছিল, সীমিত ওভারের ক্যারিয়ারে যেটা প্রভাব ফেলেছিল। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সাকিব যদি এশিয়া কাপে না থাকেন, তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও সুযোগ মিলতে পারে মুমিনুলের। এটা নিয়ে কি ভাবছেন? বাঁহাতি এই লিটল জিনিয়াস অবশ্য এসব ভেবে ঘুম নষ্ট করতে চান না। তিনি বলেন, যদি আমি সুযোগ পাই, তবে এটা অবশ্যই পুরস্কার হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগানো। আমাকে জায়গা পাকা করতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১০:১৪/২৪ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BHXsms
August 25, 2018 at 06:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন