রায়গঞ্জ, ১৯ আগস্টঃ নিজের অবৈধ সম্পর্ক বাঁচাতে ছেলেকে খুন করল মা। রবিবার পুলিশের জেরার মুখে একথা শিকার করেছে খুন হওয়া শিশুর মা বিমলা রায়। সে জানিয়েছে, নদীয়ার বাসিন্দা শঙ্কর মন্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিমলার। আর শঙ্করের কথামতোই ছেলেকে খুন করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে। আবার কখনও জানাচ্ছে, সে একাই নিজের সন্তানকে খুন করেছে। এর জন্য অন্য কেউ বা তার প্রেমিক দায়ী নয়। বিমলার কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়েছে।
সিআইডি দপ্তরের কর্তারাও এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডির তরফ থেকে ওই মহিলার বাজেয়াপ্ত ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে মহিলার অবৈধ সম্পর্কের কথা। জানা গিয়েছে, একাধিক পুরুষের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। এদিন দুপুরে পুলিশি জেরায় ওই মহিলা জেলা পুলিশের কর্তাদের একেকবার একেকরকম কথা জানায়। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে নারাজ।
উল্লেখ্য, শনিবার সাত বছরের এক নিখোঁজ শিশুর নগ্ন দেহ গাছে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় রায়গঞ্জে। এদিন বিমলা জানায়, শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জের দুটো বাড়িতে পরিচারিকার কাজ সেরে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসে সে। এরপর বাড়িতে মনসা পুজো করে ছেলেকে দু টাকা দেয়। এরপর ছেলে চলে যায় বাড়ি লাগোয়া বারোয়ারি মনসা মন্দিরে পূজো দেখতে। রাত ন’টার দিকে ছেলেকে সেখান থেকে নিয়ে যায় সে। এরপর নিজের বাড়িতে না ঢুকে বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে একটি জঙ্গলে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এরপর ছেলের জামা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসে বলে জানিয়েছে বিমলা। তবে হদিশ মেলেনি শিশুর পরিহিত প্যান্টের। জেলা পুলিশের কর্তাদের মতে, ওই মহিলার একার পক্ষে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা অসম্ভব। ওই মহিলার সঙ্গে কোনো পুরুষ মদত দিয়েছে বলে মত তাদের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আধ খাওয়া আপেল, দশ টাকার নোট, ভাঙা চুরির টুকরো ফরেনসিক রিপোর্টে পাঠাবে জেলা পুলিশের কর্তারা। জেলা পুলিশের কর্তাদের বক্তব্য, ওই আপেলটি আধা খাওয়া। সেটি ওই শিশু খেয়েছে নাকি অন্য কেউ তা তদন্ত করে দেখা হবে।
সংবাদদাতাঃ বিশ্বজিৎ সরকার
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2nMOU3A
August 19, 2018 at 07:44PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.