বিতর্ক যেন সাব্বিরের পিছু ছাড়ছে না। সাব্বিরকে ঘিরে এবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাব্বিরের গাড়ি চালক মোহাম্মদ জিহাদ জানিয়েছেন, মডেল ও অভিনেত্রী নাইলা নাইম প্রায়ই গভীর রাতে সাব্বিরের বাসায় আসতেন। কেবল তিনিই (নাইলা নাইম) নন, বিভিন্ন সময়ে একাধিক নারীর যাতায়াত হয় সাব্বিরের বাসায়, দাবি মোহাম্মদ জিহাদের। তবে নাইলা কী কাজে বা কী করতে সাব্বিরের বাসায় যেতেন সেসব বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি জিহাদ। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনে নাইলা নাইম প্রসঙ্গে সাব্বিরের গাড়িচালক জিহাদ বলেন, একটা এড (বিজ্ঞাপন) দেখছিলাম। তারপর দেখলাম এটা নাইলা নাইম। ওকে আমি চিনতাম না। কিন্তু যখন এড দেখলাম তখন তো বুঝলাম এই আপুরে আমি চিনি। এ কেন! এই আপুকে তো আমি টিভিতে দেখি আগে থেকেই। কিন্তু এই আপু তো আগে থেকেই আসতো (সাব্বিরের বাসায়)। টাকা দিয়ে দারোয়ানকে ফিক্সড করা ছিল। সে আসলেই দারোয়ান ওপরে পাঠাই দিতো। প্রসঙ্গত, নাইলা নাইমের সঙ্গে ২০১৬ সালে একটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করেন সাব্বির। পরবর্তীতে সেই বিজ্ঞাপন কুরুচিপুর্ণ ও অশোভন হওয়ায় নিষিদ্ধ হয়। চুক্তি বাতিলের কারণে সেই বিজ্ঞাপন থেকে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন সাব্বির। শুধু নাইলা নাইমই নন, সাব্বিরের বাসায় আরও একাধিক নারীর যাতায়াত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সেটা নিয়েও কথা বলেছেন জিহাদ। তিনি বলেন, লাস্ট যে কাহিনী হলো। যে মেয়েটা আসলো সে বলল সে এখান থেকে আর যাবে না। সে জোর করেই বলল আমি আর যাব না। সে বলে, তুমি আমার ফোন ধরো না, অন্য কাউকে নিয়ে ঘুরো আমি যাব না এখান থেকে। না যাওয়ার পর আমাকে বলল তুমি একে জোর করে বের করে দাও। গেট থেকে বের করে দাও। বলো গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে আসবা। তারপর বের করে দরজা আটকে দেবে। তিনি আরও বলেন, আমি ওইটা পারিনি। ওরে জোর করে বের করে দিয়েছি। তারপর আমাকে গালাগালি করেছে। বলেছে আমি না গেলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। আমি তখন বলেছি, আপনি আমারে গালাগালি করেন কেন। আপনি প্রতিদিন এসব করবেন, আমাকে রাতের বেলা উঠায়ে বলবেন দিয়ে আসতে। আমি পারব না, আমার ঘুমের সময়। আপনি দিয়ে আসেন। এই কথা বললে সে আমাকে স্যান্ডেল দিয়ে বাড়ি মারছে। তারপর দেখলাম আমার বাবা-মা তুলে গালি দিচ্ছে। তখন আমিও হাতাহাতি করেছি তার সাথে এক পর্যায়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগছেন সাব্বির। কিন্তু মাঠের বাইরে তাকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। গেল বছরের শেষ দিকে রাজশাহীতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে এক কিশোর সমর্থককে পেটান সাব্বির। সেই দায়ে জাতীয় দলের চুক্তি থেকে বাদ পড়েন তথাকথিত এই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। শুধু তাই নয়, দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় সমালোচনার মুখেও পড়েন এই ক্রিকেটার। আরএর/৯.০০/০১ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LRukNq
August 01, 2018 at 10:02PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top