মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: আগামী ২২ আগস্ট উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কুরবানির পশু বেচাকেনা নিয়ে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহ ও উদ্দিপনা। ঈদকে ঘিরে এবার উপজেলার ১২টি স্থানে বসবে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট। এরমধ্যে স্থায়ী ৩টি ও অস্থায়ী ৯টি পশুর হাট বসবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে অস্থায়ী ৯টি পশুর হাটের নিলাম হবে। আজ বুধবার ছিল উপজেলা সদরের পুরান বাজারে প্রথম কোরবানির পশুর হাট। হাটে পশু কম, ক্রেতাও কম ছিলেন। তবে বিশ্বনাথে এখনও জমে উঠেনি কোরবানীর পশুর হাট। শেষ মুহূর্তে পশু কেনা বেচায় সরব হয়ে উঠবে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা মনে করছেন। এখন বাজারে আসা অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন গত বছরের চেয়ে এবছর গরু-ছাগলের দাম অনেক বেশি।
আজ বুধবার বিকেলে প্রবাসী এলাকা বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজার গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটের ইজারাদার ক্রেতাদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করে রেখেছেন। বাঁশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইন করা হয়েছে। মানুষ চলাচলের জন্য উভয় সারির মধ্যখানে বেশ জায়গা রাখা হয়েছে। হাটে কিছু পশু রয়েছে। তবে হাটে ক্রেতা তেমন নেই। অল্প কিছু সংখ্যক ক্রেতা হাট ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আবার কেউ কেউ পশুর দাম জানতে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলছেন। হাটে দেশী কয়েকটি গরু দেখা যায়। তবে দেশি গরুর দাম ছিল বেশি। জাতীয় শোক দিবস হওয়ায় আজ ব্যাংক বন্ধ ছিল এবং প্রচন্ড গরম থাকায় পশু বিক্রেতা ও ক্রেতারা তেমন আসেননি বলে ধারনা করছেন বাজার ইজারাদাররা।
উপজেলার প্রতিটি কোরবানীর হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে গরু নিয়ে ক্রেতারা আসতেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারগুলোতে কোরবানির পশুতে হাটের আনাচে কানাচে পূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু হাটে পশুর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ছোট বড় মাঝারি কিছু গবাদি পশু বাজারে এসেছে। এর মধ্যে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশি দেখা গেছে। তাই এমন আকারের গরুর দামও তুলনামূলক বেশি। হাটে ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা মূল্যের গরু দেখা গেছে। উপজেলার মধ্যে স্থায়ী পশুর হাট হলো বিশ্বনাথ পুরানবাজার, বৈরাগী বাজার ও পীরের বাজারে স্থায়ী পশুর হাট। এ ছাড়াও অস্থায়ী ভাবে উপজেলার ৯টি স্থানে পশুর হাট বসবে।
এব্যাপারে কয়েকজন পশু ব্যবসায়ী জানান, এ বছর গরুর দাম বেশি। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর গরু গুলো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও জমে উঠেনি হাট। আগামী সপ্তাহে পুরোধমে জমে উঠবে পশুর হাট এমটাই জানান তারা। এবার পশুর আমদানি যথেষ্ট থাকলেও এখনও তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। ক্রেতারা পশু দেখছেন এবং দরদাম করে ধারণা নিচ্ছেন। শহর এলাকার মানুষের পশু রাখার জায়গা না থাকায় তারা এখনো পশু কিনতে শুরু করেনি। গ্রাম এলাকার লোকজন আগেভাগেই ক্রয় করে রাখেন তাদের পছন্দমতো কোরবানির পশু।
উপজেলার দৌলতপুর থেকে আসা পশু ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের পশুর হাটে পশু দামদর কত জানতে এসেছি। তবে বাজারে তুলনামূলকভাবে পশুর সংখ্যা কম।
উপজেলা সদরের পশুর হাট ইজারাদার জয়নাল আবেদিন বলেন, এখন পশুর হাট জমেনি। তবে কিছুটা পশু ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। গতকাল বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। আগামী রোববার পুরোধমে জমে উঠবে পশুর হাট।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালকুদার বলেন, এবার উপজেলায় স্থায়ী ৩টি ও অস্থায়ী ৯টি পশুর হাট বসবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে অস্থায়ী ৯টি পশুর হাটের নিলাম হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2nIzxJr
August 15, 2018 at 07:30PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন