টোকিও, ১৭ আগস্ট- বয়স ৩৮, এই বয়সে যে কোনো ক্রিকেটার অবসরের প্রহর গুনবে নিশ্চিত। কিন্তু এই বয়সে ক্রিকেট ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। শুধু ব্যাট হাতে নামলে কথা ছিল না। রীতিমত জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গেছেন। তবে আসল রহস্য অন্যখানে। এই নয়া ক্রিকেটার গত ৩০ বছর বেজবল খেলেছেন। জাপানের হয়ে তিন দশক বেজবল খেলার পর এখন ক্রিকেট ব্যাট হাতে নেমে পড়া এই ব্যক্তির নাম সুগো কিমুরা। ২০০৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত জাপানের পেশাদার বেজবল লিগে খেলেছেন কিমুরা। এই সময়ে জাপানের ইউকোহামা বে স্টার্স, হিরোশিমা কার্প এবং সেইবো লায়ন্সের হয়ে বেজবল খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। তবে সর্বশেষ দল সেইবো লায়ন্স তাকে ছেড়ে দিলে নতুন কোনো দল তাকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এরপর ২০১৮ সালে তিনি ক্রিকেটকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আমাকে বেজবলের কোচ হিসেবে ডাকা হয়েছিল কিন্তু আমি এখনও খেলোয়াড় হিসেবে খেলার উপযোগী। আমি কিছু (ক্রিকেটের) ভিডিও দেখি এবং আমার ভেতরে আগ্রহ জেগে উঠে। বার্তাসংস্থা এপির সঙ্গে জানুয়ারিতে এসব কথা বলেন কিমুরা। অবশ্যই এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমার ভেতরে যদি আত্মবিশ্বাস না থাকতো তাহলে আমি এটা চেষ্টা করতাম না। হয়তো আমার আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে, কিন্তু সবসময়ই কিছু কষ্ট তৈরি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমি চেষ্টা করতে চাই এবং ইতিবাচক দিকে ধাবিত হতে চাই। খুব বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি কিমুরাকে। চলতি বছরের মে মাসে জাপানের জাতীয় দলের ২০ জনের স্কোয়াডে স্থান করে নেন তিনি। দল বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ট্রেনার ক্যামেরন ট্রেডেল তার দক্ষতা দেখে তাকে খুব দ্রুতই দলে টানেন। ৩০ বছর বেজবল খেলার পর জাপানের হয়ে ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গেছেন কিমুরা। জাপানের নতুন ক্রিকেট মাঠ সানো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ২২ এবং ২৩ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় অ্যাম্বেসি কাপে জাপানের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন সাবেক এই বেজবল তারকা। কয়েকমাস আগে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে গিয়ে কুইন্সল্যান্ড বুলসের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার স্যাম ট্রুলফের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন কিমুরা। সেখানে কিমুরাকে বিগ হিটার তকমা দেওয়া হয়েছে। ডারউইনের নর্দার্ন টেরিটোরি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ মার্ক সোরেল তাকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। সেই ফলও আশাব্যঞ্জক। শুধু জাপানের জাতীয় ক্রিকেট দলেই নয়, কিমুরা স্বপ্ন দেখেন ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ আইপিএলে খেলার। সেখানে খেলতে পারলে ক্রিকেটে নিজেকে সফল মনে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জাপানে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্নও দেখেন তিনি। তবে কাজটা সহজ হবে না এটা তিনিও জানেন, তবে যে মানুষটা ৩৮ বছর বয়সে ভিন্ন একটা খেলায় যুক্ত হতে পারেন, তাও জাতীয় দলে, তার পক্ষে অসম্ভব বলে কি কিছু আছে? সূত্র: বাংলানিউজ২৪ আর/১৭:১৪/১৭ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vNZuf4
August 18, 2018 at 12:40AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top