মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের বৈরাগী-সিংগেরকাছ সড়ক যথাসময়ে সংস্কারকাজ না করায় এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের মাঝে খানাখন্দককে অনেকে ‘মিনি খাল’ বলে অভিহিত করেছেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এ দিকে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে সড়কের ওপর জাল বেয়ে প্রতীকী মাছ শিকার করেছে শিশুরাও। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে মিনি খালে রুপান্তিত হয়েছে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তে বৃষ্টির পানি জমাট বেধে রয়েছে। দেখলে মনে হয় সড়কটি যেন মাছ চাষের উপযোগী। সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে মিনি খালে পরিনত হওয়ার কারনে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, মটর সাইকেল, লেগুনা ও কার-লাইটেসের চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছেন। সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষকে প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে এবং ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
স্থানীয়দের মন্তব্য সড়কের এমন বেহাল অবস্থা দেখবে কে এলাকার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বিশ্বনাথসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে এই সড়কটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু সড়কের এমন অবস্থা দেখেও যেন না দেখার বাহনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মিয়াদ আহমদ বলেন, সড়কের গর্তগুলো দেখলে মনে হয় একটি মিলি খাল। আর সেই গর্তে জমে থাকা পানি দেখলে যে কেউই তাতে মাছ শিকার করতে যাইবে। সড়কটি সংস্কার করার জোরদাবি জানান তিনি।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যবসায়ী জামাল আহমদ, মনির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এ প্রতিবেদককে বলেন, এত বড় বড় গর্ত হয়েছে সড়কে তারপরও খবর রাখেননি কেউ। প্রায় সময় সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে, অনেক যাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। জরুরী ভিত্তিতে সড়কের সংস্কার কাজ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাস চালক সাদিক মিয়া বলেন, প্রায সময় সড়ক গর্তের কারণে ছোট-বড় দূর্ঘটনায় পড়তে হয়। পাশাপাশি সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ট্রাক চালক শাহিন আহমদ বলেন, বেশ কয়েকটা বিশাল গর্ত রয়েছে সড়কে এগুলো ভরাট করে না দিলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
অটোরিশকা চালক শুকুর আলী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাই। জীবন-জীবিকার তাগিদে গাড়ি না চালিয়েও পারিনা তাই বাধ্য হয়ে এসড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2vAbNvE
August 10, 2018 at 09:00PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.