ঢাকা, ০৯ আগস্ট- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট নিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাওয়া চোটে এখনও ভুগছেন। পুরোপুরি সারতে প্রয়োজন অস্ত্রোপচার। সাকিব চাইছেন এশিয়া কাপের আগেই সার্জারি করাতে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চাইছেন ভিন্ন কিছু! বিসিবি সভাপতি সাকিবকে খুব করে পেতে চাইছেন এশিয়া কাপে। সেই কথাই মিরপুরে স্পষ্ট করলেন বৃহস্পতিবার, ওর সার্জারি এশিয়া কাপের আগেও হতে পারে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়েও হতে পারে। আজকে কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে, ও বলেছে এশিয়া কাপের কথা। আমি বলেছি এশিয়া কাপের চেয়ে ভালো হয় আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় যদি করতে পারি। তাতে নতুন কিছু ক্রিকেটারও দেখতে পারবো আমরা। সাকিবকে এশিয়া কাপে চাওয়ার কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবি সভাপতি, এশিয়া কাপ এমনিতেই এবার কঠিন হবে। তার ওপর সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার না খেললে দলের প্রেরণা আরও নেমে যেতে পারে। আজ-কালকের মধ্যে সাকিবের সঙ্গে কথা বলবো। আমার মনে হয়, অন্য সময় করাটাই ভালো হবে। সার্জারি মানেই দীর্ঘ বিরতি। এই সময়ে সাকিবের মতো একজনকে না পাওয়াটা দুশ্চিন্তার। বিসিবি সভাপতি সেই দুশ্চিন্তা গোপন করলেন না, সাকিব আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল যে হাতে অপারেশন করাতে হবে। হেড কোচও ওখান থেকে ফোন করেছিল। কারণ ব্যাটিংয়ে যে শক্তি ওর দরকার, সেটা পাচ্ছে না। ইঞ্জেকশন নিয়ে তাকে খেলতে হচ্ছে। কিন্তু অপারেশন হলে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতি দরকার। এত লম্বা বিরতি পাওয়াটা কঠিন। ওকে ছাড়া খেলা আমরা চিন্তাই করতে পারছি না। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের অভব্য আচরণ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বেশ। ভক্তদের ওপর ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ছাড়িয়ে যাচ্ছে মাত্রা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিসিবি সভাপতিও। তিনি মনে করছেন কড়া পদক্ষেপই শেষ কথা, দেখুন, ব্যক্তিগত ব্যাপারে ঢোকা কঠিন। আমরা তো বাসায় গিয়ে মনিটর করে আসতে পারবো না। ওদেরকেই বুঝতে হবে। সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রচুর, কিন্তু ওরা যদি ভালো হওয়ার সুযোগ না নেয়, তাহলে ওটা ওদের সমস্যা। বোর্ডের সমস্যা না। আমরা মনে করেছিলাম, শেষ যে বিচারটি হয়েছিল তার পর সব ঠিক হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাতেও যদি ঠিক না হয়, তাহলে তো চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, উপায় নেই। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো স্টিভ রোডসও থাকবেন নির্বাচকের ভূমিকায়। হাথুরুসিংহের জমানায় শুরু হওয়া এই নিয়ম চালু থাকছে নতুন কোচের বেলাতেও। বিসিবি সভাপতি সেই কথা জানান সংবাদমাধ্যমকে, আগে যা ছিল, সেই পদ্ধতিই থাকছে। একটা কমিটি থাকবে, যার প্রধান অপারেশন্স প্রধান আকরাম খান, পাশাপাশি কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজার এবং নির্বাচকরা থাকবেন। নির্বাচকরা দল নির্বাচন করে পাঠাবে। ওখানে নির্বাচক বা আমাদের কিছু বলার নেই। সেরা একাদশ মূলত অধিনায়ক, আর কোচের। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমএ/ ০৯:০০/ ০৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AWKOQ9
August 10, 2018 at 03:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন