বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের কয়েকটি অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীসাধারণসহ এলাকাবাসী। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে তৈরী করছে নানা প্রতিবন্ধকতার।বিঘ্নতার সৃষ্টি করছে যান চলাচলে। সময় বাড়িয়েছে যাতায়াতের। এতে করে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী গাড়ীচালক, যাত্রী, রোগী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি পথচারীদেরও প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। গর্তে পড়ে গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্টের ফলে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে গাড়ী মালিকদের।
সরজমিন বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এ সড়কের বাউসী কালভার্ট যাওয়ার পূর্বের অংশ ও মিয়ারবাজার প্রবেশমুখ অংশে পিচঢালা উঠে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের। অল্প বৃষ্টিতেই এসব গর্ত পরিণত হয় ডোবায়। ফলে, জনগুরুত্ব এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু রোগী, শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়ীর যন্ত্রাংশ। ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়লেও সড়ক সংস্কারে অনেকটাই উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে, জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। পাশাপাশি এ সড়কের হরিকলস মোড় অংশেও পিচঢালা উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের।
এ সড়কের অটোচালক শাহিন মিয়া বলেন, বিশ্বনাথ সদর থেকে মিয়ারবাজার পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যেতে রীতিমত ভয় হয়। ভাঙ্গাচোরা ও বিশাল গর্তে পড়ে ঝাকুনীর ফলে গাড়ীর যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ক্ষতি হয় নিজের শরীরেরও। একই কথা বললেন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রীও।
মিয়ারবাজারের ব্যবসায়ী কামাল আহমদ জানান, সড়কটির বেহাল দশার ফলে, বিশেষ করে বাজারের প্রবেশমুখের অংশে বিশাল বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এখন আর তেমন একটা ক্রেতা সমাগম হয় না। যার ফলে, ব্যবসাবাণিজ্যও আগের মত জমে না।
এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, দেওকলস ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া, দশঘর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাতির বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের বাউসী কালভার্ট যাওয়ার পূর্বের অংশ, মিয়ারবাজার প্রবেশমুখ অংশ ও হরিকলস মোড় পিচঢালা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া ছোটবড় গর্তগুলো ভরাট করে সড়কটির অতিদ্রুত সংস্কার করা জরুরী। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে শিগগিরই উদ্যোগ নেবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা এমকে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সরজমিন সড়কটির অবস্থা দেখেছি। চলতি মাসেই সড়কের ৩টি অংশ সংস্কারের টেন্ডার হবে। টেন্ডারের মাধ্যমেই সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে। নতুন স্কীমের মাধ্যমে আগামী বছর পুরো রাস্তা পিচঢালা করা হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2ogbr9w
August 28, 2018 at 12:04AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন