ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর- সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মত দল। হংকংকে এ তালিকায় দুর্বল হিসেবেই গণ্য করা যায়। তবে বাকি দলগুলো নিজেদের দিনে যে কাউকে হারাতে সক্ষম। সেদিক থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে টাইগারদের। এশিয়া কাপের যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে চলুন দেখে নেয়া যাক টিম বাংলাদেশের স্কোয়াড, প্রস্তুতি ও শক্তিমত্তার দিকগুলো। যেমন হল দলের প্রস্তুতি: ঈদের পর, ৩১ সদস্যের দল নিয়ে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কয়েকদিন পরই মূল দল ঘোষণা করে দিল। কিন্তু এশিয়া কাপের আগে মাঠের বাইরের বেশ কিছু ঘটনা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে দলকে। সাব্বির, সৈকত, নাসিরের ব্যক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত জটিলতা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পাওয়া আঙুলের চোট সেরে উঠেছিলেন আরও আগে। কিন্তু বল করতে পারলেও, ব্যাট ঠিকভাবে গ্রিপ করতে পারছেন না তিনি। সে কারণে বেশ ভুগতে হয়েছে তাকে উইন্ডিজ সিরিজে। সেখান থেকেই জানা যায়, আঙুলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। সেই অস্ত্রোপচার এশিয়া কাপের আগে হবে নাকি পরে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। পরে অবশ্য প্রতিযোগিতা শেষেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ এশিয়া কাপ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম শান্ত, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আরিফুল হক ও আবু হায়দার রনি। ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড: এশিয়া কাপের দল নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তার আগে একটু পিছনে তাকাতে হবে। উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে সাদা পোশাকের টেস্টে বাজেভাবে হারের পর সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। মূলত, পুরো সিরিজে সবচেয়ে নেতিবাচক ব্যাপার ছিল তরুণ ক্রিকেটারদের জ্বলে উঠতে না পারা। পঞ্চপাণ্ডব তথা মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের হাতেই এগিয়েছে পুরোটা সফর। সবকিছু মিলে তাই সাব্বির-সৌম্য-লিটন-বিজয়দের নিয়ে কথা হয়েছে। কারণ, ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে বেশি। তবে এবার নতুন-পুরাতনদের মিলিয়ে যথেষ্ট ব্যালান্সড দল টাইগাররা। শক্তির জায়গা ব্যাটিং: দলে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি কতটা করতে পারেন, সেটাই এবার দেখার বিষয়। এছাড়া ব্যাটিং লাইনআপে বেশ শক্ত দল গড়েছে বাংলাদেশ। তামিম, সাকিব, মুশফিক; এই তিন জ্যেষ্ঠ টপ অর্ডারের পাশাপাশি তরুণ ব্যাটমস্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে দলে নেওয়া হয়েছে। তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন লিটন। মিডল অর্ডারে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দেবেন সৈকত, মিরাজরা। মিঠুন টপ অর্ডার কিংবা মিডল অর্ডার; দুই জায়গাতেই সমান খেলার যোগ্যতা রাখেন। সঙ্গে আছেন অলরাউন্ডার আরিফুল ইসলাম। সবমিলিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী। সেইসাথে বোলিং, ফিল্ডিং ক্লিক করলে ভালো কিছুর আশা করতেই পারে টাইগাররা। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ১০ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2x1X78i
September 10, 2018 at 02:01PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top