দুবাই, ২৮ সেপ্টেম্বর- এবার আর পারলেন না মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার পথে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা এই ব্যাটসম্যান শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্যর্থ। তার আউটের পর বাংলাদেশের স্কোর ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৮ রান। দ্রুত ফিরলেন ইমরুল ক্রিজে থিতু হতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। ওয়ান ডাউনে নেমে দ্রুত ফিরে গেছেন তিনি প্যাভিলিয়নে। তার আউটে বাংলাদেশের স্কোর ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৩। মিরাজের বিদায়ে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি শুরুটা যেমন চেয়েছে, তেমনটাই পেয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নতুন যোগ হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে ফিরিয়েছেন স্বস্তি। চমৎকার সমর্থন দিয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন মিরাজ। কেদার যাদবের আঘাতে ভারত পায় প্রথম উইকেট। নিয়মিত বোলারদের হতাশার মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছেন এই পার্ট-টাইম বোলার। কেদারের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিরাজ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন আম্বাতি রাইডুর হাতে। ওপেনার হিসেবে নামা এই অলরাউন্ডার আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে করেছেন ৩২ রান। লিটনের প্রথম হাফসেঞ্চুরি অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন লিটন দাস। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে এশিয়া কাপের ফাইনালে পেলেন তিনি হাফসেঞ্চুরির দেখা। তার ব্যাটে ভর দিয়ে বাংলাদেশ পায় দারুণ শুরু। ২০১৫ সালের জুনে ওয়ানডে অভিষেক লিটনের। তবে গত তিন বছরে খেলা ১৭ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিল তার ৪১। ভারতের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আগের সর্বোচ্চকে টপকে গিয়ে পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। লিটন-মিরাজে দারুণ শুরু ওপেনিং খুব ভোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপে উদ্বোধনী জুটির ব্যর্থতায় ফাইনালে মেহেদী হাসান মিরাজকে নামানো হয় ওপেনিংয়ে। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে লিটন দাসের সঙ্গে শুরুটা দারুণ করেছেন তিনি। ৮ ওভারে তারা তুলে ফেলেছেন ৫৮ রান। তামিম ইকবাল চোটে পেয়ে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার বাংলাদেশ খায় বড় ধাক্কা। তাকে ছাড়া ওপেনিং ছিল বড়ই বিবর্ণ। অবশেষে ফাইনালে এসে আলো ছড়ালো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। লিটন নিয়মিতই ওপেনার হিসেবে নেমেছেন, তবে মিরাজ প্রথমবার নেমেছেন এই পজিশনে। সাধারণত লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে বড় চমকই দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুবাইয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন একটি। ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে বসিয়ে বোলিংয়ে শক্তি বাড়াতে স্পিনার নাজমুল ইসলামকে একাদশে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন পেসার- মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনের সঙ্গে রয়েছেন দুই স্পিনার- মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল। ভারতের একাদশে পরিবর্তন বেশ কয়েকটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিল তারা। এশিয়া কাপের ফাইনালে ফিরেছেন রোহিত, শিখর ধাওয়ান, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল ও জসপ্রিৎ বুমরাহ। ভারতের বিপক্ষেই আগেরবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হয়েছিল টাইগাররা। এবারও তাদের সামনেই বাংলাদেশ। ঝড়-ঝঞ্ঝার এশিয়া কাপের এই আসরেও স্বপ্নপূরণের শেষ ধাপে চলে এসেছে মাশরাফিরা। শিরোপা নির্ধারণের মঞ্চটাও অচেনা নয়। দুবাইয়ের এই ভেন্যুতেই উদ্বোধনী ম্যাচ জয়ে রাঙিয়েছিল। এখানেই এশিয়া কাপের প্রথম শিরোপা ছোঁয়ার মিশনে নেমে সফল হতে চায় টাইগাররা। বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান। ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, আম্বাতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, জসপ্রিৎ বুমরাহ। তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন একে/০৭:৩০/২৮ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QiaWI2
September 29, 2018 at 01:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন