হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তোলার রেশ কাটতে না কাটতেই রিয়াল সমর্থকদের বড় ধাক্কা দেন কোচ জিনেদিন জিদান। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে গ্যালাকটিকোরা। যদিও এটা মেনে নিতে নারাজ নতুন কোচ জুলিয়েন লোপেতেগুই। ধাক্কা খাওয়ার কথাটি না মানার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে কোচের কাছে। কারণ মৌসুমের শুরুতে অ্যাথলেটিকোর কাছে শিরোপা হারের সবাই বলছিল রোনালদোবিহীন রিয়াল শুন্য। কিন্তু লা লিগা শুরু হওয়ার পর অন্য এক রিয়ালকে দেখছে ফুটবল বিশ্ব। প্রথম তিন ম্যাচে তিনটিতে জিতেই বার্সার সঙ্গে টক্কর দিয়ে চলছে তারা। রোনালদো রিয়াল ছাড়ার কারণে আরেকটি ক্ষতি হয় লা লিগার। সেটি হলো গত ৯ বছর ধরে এ লিগে দেখা যাচ্ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ। কিন্তু রোনালদো চলে যাওয়ায় এ মৌসুম থেকে সে লড়াইকে মিস করবে লা লিগার সমর্থকরা। রোনালদোর চলে যাওয়া নিয়ে কোনও কথাই বলেননি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। সোমবার কাতালান রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদোর বিষয়ে প্রথম মুখ খোলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। তিনি রোনালদোবিহীন রিয়ালকে দুর্বল শক্তির দল হিসেবেই বিবেচনা করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তাদের অসাধারণ একটি স্কোয়াড আছে। কিন্তু এটা নিশ্চিত, রোনালদোর অনুপস্থিতি তাদের কিছুটা দুর্বল করে ফেলেছে। বরং জুভেন্তাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেভারিট থাকবে। কিন্তু মেসির এমন বক্তব্য খুব সহজভাবে নিতে পারেননি রিয়ালের বর্তমান কোচ জুলিয়েন লোপেতেগুই। বরং উল্টো তিনি এল ট্রান্সিটরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেসির প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, রিয়াল নিয়ে দুশ্চিন্তা মেসির না করলেও চলবে। আমি তো রিয়াল মাদ্রিদেরই খেলোয়াড় এবং স্কোয়াড নিয়ে এক সেকেন্ডও চিন্তিত নই। সিআরসেভেন রিয়াল ছেড়ে চলে যাওয়া পর এ নিয়ে কোনও কথা বলেননি রিয়াল কোচ। কিংবা এ নিয়ে রোনালদোর সঙ্গেও কথা বলেননি। এবারের সাক্ষাৎকারে তিনি তাই বলেন, আমি রোনালদোর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলিনি। আমি যখন রিয়ালে আসি, তখন এটা ছিল একটা অবস্থা। তখন সে রিয়াল ছাড়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিল। ক্লাবও তার এই ইচ্ছাটা গ্রহণ করেছিল তখন। সিদ্ধান্তটাকে আমি স্বাগত জানাই এবং ব্যক্তিগত পরিকল্পনা গ্রহণ করি। একই সঙ্গে লোপেতেগুই বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্পেন দল থেকে ছাটাই হওয়ার বিষয়ে বলেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করার কারণে স্পেন জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার কারণে নিজের মধ্যে কোনও দুঃখবোধ নেই তার। বিশ্বকাপের আগে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা নিয়ে নিজের মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই। ভবিষ্যতেও হয়তো এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি। স্পেন দলে বিশ্বকাপের পর তার জায়গা নিয়োগ দেয়া হয়েছে বার্সেলোনার সাবেক কোচ লুইস এনরিকে কে। এ নিয়েও কোনও বক্তব্য নেই লোপেতেগুইর। তিনি বলেন, স্পেন জাতীয় দল নিয়ে কোনও কিছু শুনলে তা আমার মর্মে আঘাত করে না। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমার সামনে এখন দারুণ এক চ্যালেঞ্জ। তবে আমি স্পেন জাতীয় দলের সব সময় ভালো কামনা করি। স্পেন দলের কোচ এনরিকে ও স্পেনের প্রতিটি ফুটবলারসহ সবার প্রতিই রইলো আমার শুভেচ্ছা। তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন আরএস/ ০৫ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2M1mUmR
September 05, 2018 at 06:16PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন