আবুধাবি, ২৪ সেপ্টেম্বর- মুস্তাফিজের হাত ধরে শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৫০তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খান দুই রান আদায় করে নেন। দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। তৃতীয় বলে লেগ বাই থেকে এক রান পায় আফগানিস্তান। চতুর্থ বলে ডট আদায় করে নেন মুস্তাফিজ। পঞ্চম বলে লেগ বাই থেকে এক রান নিলে শেষ বলে আফগানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৪ রানের। ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রাইকে উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ সিনওয়ারি। মুস্তাফিজের শেষ ডেলিভারি পুল শট করতে গেলে ব্যাট হাত থেকে ছিটকে যায় সিনওয়ারির আর বল গিয়ে মুশফিকের হাতে জমা পড়ে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জয়ের উল্লাসে মাতে। আজকের জয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো বাংলাদেশ। আগামী ২৬ তারিখ পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে টাইগাররা। আজকের ম্যাচে পাকিস্তান ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ায় ফাইনালে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রইলো মাশরাফিদের সামনে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পরাজিত করলে আর ভারত আফগানিস্তানকে পরাজিত করলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে উঠে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচে পাকিস্তান বাংলাদেশকে এবং আফগানিস্তান ভারতকে পরাজিত করলে এশিয়া কাপের কল্যাণে পাক-ভারত মহা দ্বৈরথের আরেকটি ম্যাচ দেখতে পাবে ক্রিকেট বিশ্ব। ডু অর ডাই ম্যাচে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ রূপ দিতে ব্যর্থ হন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১৬ রানেই আফতাবের বলে ফিরে যান শান্ত। তার পরপরই ১৮ রানে ফিরে যান মিথুন।এরপর মুশফিক লিটনকে নিয়ে জোড়া ধাক্কা সামাল দেন। কিন্তু ৮১ রানে অনেকদিন পর রানে ফেরা লিটন রশিদ খানের বলে ফিরে যান। যাওয়ার আগে ৪৩ বলে ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এরপর সাকিব এসে কোনও রান করার আগেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন। প্রায় এক বছর পর দলে ফেরা ইমরুল কায়েস এসে মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। কিন্তু ৬ রানের মধ্যেই ফিরে যান মুশফিক। এরপর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ১২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। মাহমুদুল্লাহ ৮১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৭৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েস ৮৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন। সেই সঙ্গে নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশ ২৪৯ রানের পুঁজি পায়। আফগানদের পক্ষে আফতাব ৩টি, মুজিব ও রশিদ ১টি করে উইকেট লাভ করেন। আড়াইশো রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আটসাট বোলিং করে বাংলাদেশ। যার কারণে ২৬ রানেই নেই ২ উইকেট। কিন্তু অপরপ্রান্তে মোহাম্মদ শেহজাদ মাথাব্যথার কারণ হয়েছিলেন। ৮৯ রানে তাকে ফেরত পাঠান ওকেশনাল বোলার মাহমুদুল্লাহ। তার আগে ৮১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫৩ রানের একটি ইনিংস খেলে যান তিনি। মাঝখানে আসগর আফগান হাসমাতুল্লাহকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। অধিনায়ক মাশরাফি ১৬৭ রানের সময় আসগর আফগানকে আউট করে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। এর কিছুক্ষণ পরই আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক হাসমাতুল্লাহকে বোল্ড করেন মাশরাফি। তার আগে হাসমাতুল্লাহ ৯৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবী ৩৮, সামিউল্লাহ সিনওয়ারি ২৩ রান আফগানদের জয়ের মুখ দেখাচ্ছিল। কিন্তু মুস্তাফিজের শেষ ওভারের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি ও মুস্তাফিজ ২টি, সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ ১টি করে উইকেট লাভ করেন। দলের প্রয়োজনে ৭৪ রান ও বোলিংয়ে ১ উইকেট দখল করায় মাহমুদুল্লাহ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন এনওবি/০৭:৩৩/২৪ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xNNr1U
September 24, 2018 at 01:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন