ফেবারিট দল হিসেবেই এশিয়া কাপ খেলতে দুবাই গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেনি তারা। গত বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক অফ স্পিনার সাঈদ আজমল বলেন। তিনি বলেন, এ দলগুলো (বাংলাদেশ) একসময় পাকিস্তানকে ভয় পেত। পাকিস্তানের নাম শুনলেই হেরে যেত। কিন্তু এখন তারা আমাদের ব্যাটসম্যানদের চোখ রাঙায়। আমাদের হুমকি দেয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের পারফরম্যান্স দেখে লজ্জা পাচ্ছি। হারলেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে বুধবার আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। অঘোষিত সেই সেমিফাইনালে মুশফিকুর রহিমের ৯৯ রান এবং মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং পাকিস্তানকে ৩৭ রানে পরাজিত করে ফাইনালে চলে যায় বাংলাদেশ। এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে চোটাক্রান্ত সাকিব-তামিমকে ছাড়াই খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। সেই অবস্থা থেকে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৬০ রান করে মিঠুন ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ভালো খেলা সত্ত্বেও ১ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই অবস্থা থেকে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন ওপেনার ইমাম-উল হক ও শোয়েব মালিক। রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত ক্যাচে ৩০ রানে ফেরেন মালিক। এরপর ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন শাদাব খান। ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানে খেলায় ফেরান ইমাম-উল-হক ও আসিফ আলী। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৭১ রানে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ভয়ঙ্কর হয়ে যাওয়া এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ফেরান ৩০ রান করা আসিফ আলীকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানের উইকেট তুলে নেন টাইগাররা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা পাকিস্তান ওপেনার ইমাম-উল-হককে ৮৩ রানে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। হাসান আলী এবং মোহাম্মদ নওয়াজকে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। শেষ দিকে রাট রেট বেড়ে যাওয়ায় লেজের ব্যাটসম্যান শাহিন শাহ আফ্রিদি ও জুনায়েদ খান দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০২ রানে থেমে যায় পাকিস্তান। ৩৭ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। পরপর দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিং করে যাওয়া মোস্তাফিজক দেখলে মনে হয় তিনি পুরনো সেই ছন্দেই আছেন। সূত্র: যুগান্তর এমএ/ ১০:৩৩/ ২৭ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QcKU8K
September 28, 2018 at 04:44AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন