আবু ধাবি, ১৯ সেপ্টেম্বর- অবশেষে আজ সেই মহারণ। আর মাত্র কয়েকঘণ্টা পরেই মাঠে নামছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। অ্যাশেজের পর বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতীক্ষিত লড়াইগুলোর একটি। দুবাইতে এখন সব উত্তাপ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে। যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারের পরে আবারও মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী। মরুশহরে তাদের দেখা হচ্ছে প্রায় একযুগ পরে। যে ম্যাচ নিয়ে আগে থেকেই হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দলটির অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ভারত বাড়তি সুবিধা পাবে সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে বলে। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের বাধ্য হয়ে অনেক দূরের আবুধাবিতে খেলতে যেতে হবে। সরফরাজের মতো পিছিয়ে নেই তার দুই পেসারও। হাসান আলি যেমন বলেছেন, ভারতের দশটা উইকেট চাই আমার। নবাগত উসমান খানের মন্তব্য, পাঁচ উইকেট নিতে চাই ভারতের বিরুদ্ধে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপ বাড়ছে। দুবাইয়ের ৪১-৪২ ডিগ্রির স্বাভাবিক তাপমাত্রা আরও চড়ে যেতে পারে, যদি সত্যিই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দেখা যায় ইমরান খানকে। যিনি মরুভূমির দেশে অনেকবারই ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন। পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বুধবার প্রথম সরকারি সফরে আবুধাবিতে যাচ্ছেন ইমরান খান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে দলকে তাঁতাতে মাঠে যাবেন সাবেক অধিনায়ক। তবে পাকিস্তান দলের মিডিয়া ম্যানেজার এমাদ হামিদ বলেছেন, আমরা জানি না, ইমরান মাঠে আসবেন কিনা। আবুধাবিতে আসছেন, এটুকু জানি। প্রধানমন্ত্রীর মাঠে যাওয়া নিয়ে সরফরাজ আহমেদ বলেছেন, ইমরান খান এলে দর্শকদের এবং আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার হবে। কিন্তু ইমরান খান গেলে স্টেডিয়ামজুড়ে যে গর্জনটা উঠবে, তা নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় দর্শকদের চাপে ফেলবে বলে ধারণা করছেন সেদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। এমনিতেই বিরাট কোহলি না খেলায় দুবাইয়ের প্রবাসী ভারতীয়দের উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়েছে, ম্যাচটা পাকিস্তানের দিকে ঝুলে বলেও কথা হচ্ছে। সেই আতঙ্কে তাদের কেউ কেউ যে কাজটা করেছেন, তা বেশ অভিনব। অনেক ভারতীয় ম্যাচের টিকিট বিক্রি করে দিয়েছেন। ইতিহাস অবশ্য বলছে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান পাল্লা দিয়ে জিতেছে। দশবারের মুখোমুখিতে পাঁচবার করে জিতেছে দুই দলই। দুবাইয়ের গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচের উত্তাপ বাড়বে বুঝেই হয়ত বিশেষ একটা ব্যবস্থা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রশাসন। ভারত আর পাকিস্তানি দর্শকদের বসার জায়গা আলাদা করে দিয়েছে রং অনুযায়ী। অরেঞ্জ জোন ভারতের, গ্রিন জোন পাকিস্তানের। মাঠের বাইরে যত মেলামেশাই চলুক না কেন, মাঠের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান দর্শকদের কোনো মিশ্রণ চায় না তারা। চায়না অপ্রীতিকর কিছু! আরএস/ ১৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xwhb38
September 19, 2018 at 07:06PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন