আবু ধাবি, ২৩ সেপ্টেম্বর-জিতলে ফাইনালের টিকিট, ব্যত্যয় ঘটলে অপেক্ষা বাড়বে। এমন সমীকরণ নিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে লড়ছে ভারত-পাকিস্তান। তাতে সরফরাজ বাহিনীর দেয়া ২৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে টিম ইন্ডিয়া। শুরুটা দুরন্ত করেছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ৮ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪৩ রান করেছে ভারত। রোহিত ১৮ ও ধাওয়ান ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। সূচনালগ্নে যুজবেন্দ্র চাহালের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন ইমাম-উল-হক। অবশ্য চাহালের দুর্দান্ত গুগলি ইমামের প্যাডে লাগলেও আউট দেননি আম্পায়ার। পরে ভারত রিভিউ নিলে আউট দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর বাবর আজমকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন ফখর জামান। তারা এগুচ্ছিলেনও বেশ। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। দলীয় ৫৫ রানে মায়াবী স্পিনার কুলদ্বীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফখর (৩১)। স্কোর বোর্ডে আর ৩ রান যোগ হতেই ফেরেন বাবর। ভুল বোঝাবুঝির খেসারত গুনে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। চাহাল-জাদেজার যুগলবন্দিতে ফেরেন এ ইনফর্ম ব্যাটসম্যান। এতে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে শোয়েব মালিককে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সরফরাজ আহমেদ। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন মালিক। এক পর্যায়ে জমে উঠে তাদের জুটি। ভারতীয় বোলারদের চোখ রাঙাতে থাকেন তারা। দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় স্কোর বোর্ডে রানের পর রান যোগ করতে থাকেন বর্তমান ও সাবেক অধিনায়ক। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু হঠাৎই থেমে যান সরফরাজ। দলীয় ১৬৫ রানে অল্পের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কুলদ্বীপ যাদবের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬৬ বলে ২ চারে ৪৪ রান করেন পাক অধিনায়ক। এতে মালিকের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি ভাঙে। সরফরাজ ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন শোয়েব মালিক। আর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন আসিফ আলি। এতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু ২০৩ রানে জাসপ্রীত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির তালুবন্দি হয়ে মালিক ফিরলে সেই স্বপ্ন ভেস্তে যায়। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ৪৩তম ফিফটি তুলে নেন এ মাস্টার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। আসিফের ঝড়ও বেশিক্ষণ চলেনি। মালিকের পরপরই তার টর্নেডোও থামে। যুজবেন্দ্র চাহালের দুর্দান্ত গুগলিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২১ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন এ তরুণ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ ও হাসান আলি ২ রানে অপরাজিত থাকেন। খানিক আগে বুমরাহর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শাদাব খান। ভারতের হয়ে বুমরাহ, চাহাল ও কুলদ্বীপ প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। তথ্যসূত্র: যুগান্তর এইচ/২০:২৯/২৩ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2O2jwwP
September 24, 2018 at 04:33AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন