ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর- দুজন খুলনায় গিয়েছিলেন চার দিনের ম্যাচ খেলতে। হঠাৎ কাল সন্ধ্যায় তাঁদের জানানো হলো, দুজনকে যেতে হবে দুবাই, এশিয়া কাপ খেলতে। টুর্নামেন্টের মাঝে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চারদিকে। এমনিতে উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের একজন যোগ্য সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত নির্বাচকেরা। এবার তামিম নিজেই চোটে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন। রান নেই লিটন কিংবা তরুণ নাজমুলের ব্যাটেও। হঠাৎ দুই ওপেনারকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ, দলের বর্তমান ওপেনারদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তামিমের ইনজুরির পর চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। তাহলে দলের হয়ে ওপেন করবে কে? লিটনের সঙ্গে ওপেন করবে শান্ত? বড় আসরে শান্তর অভিষেকের বিষয়টা ভেবে পাচ্ছিলেন না বুলবুল। শান্ত কে তো জিম্বাবুয়ের সাথে অভিষেক করিয়ে সাহস বাড়ানো দরকার ছিল। দুবাইয়ের মতো কঠিন কন্ডিশনে, আবার এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে শান্ত নিজেকে কতটা সেট করে নিতে পারবে তা নিয়েও সন্দিহান ছিলেন বুলবুল। বিসিবির ভুল সিদ্ধান্তে দলকে তো মূল্য দিতে হচ্ছে। সেই সাথে আবার নতুন করে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়ে গেছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। লিটন ও শান্তর ব্যর্থতার কারণে এ দুই ওপেনারকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে দুবাইয়ে। আগামিকাল(২৩ই সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে টাইগারদের বাঁচা মরার ম্যাচ। এ ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে। গত দুই তিন ম্যাচে দলকে ভুগিয়েছেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই যে করেই হোক ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন করতে চাইছে বিসিবি। কিন্তু কাল কী করে মাঠে নামবেন সৌম্য-ইমরুল? খুলনায় চার দিনের ম্যাচে ব্যস্ত ছিলেন তারা। তিনটা দিন টানা খেলে অনেকটাই ক্লান্ত। এই অবস্থায় তারা সংবাদ পান, তাদের কাল (আজ) সন্ধার ফ্লাইট ধরতে হবে। রাতেই রওনা হয়েছেন খুলনা থেকে, বাসে করে। দুই ওপেনার অনেক ক্লান্ত। দিনের বেলায় একবার আবার বিসিবিতেও যেতে হয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আনতে।তারপর আবার বিমানবন্দর। তাদের দুবাই পৌঁছানোর কথা অনেক রাতে। বিমান বন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত জার্নি। আবার কাল সকালে যেতে হবে দুবাই থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। টানা ম্যাচ খেলার ধকল, খুলনা থেকে বাসে করে ঢাকা আসার ক্লান্তি। আজকের প্লেন জার্নি, কালকের দেড় ঘন্টার বাস জার্নি। এরপর আবার কঠিন গরম। সৌম্য- ইমরুলের এশিয়া কাপে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। এই অভিজ্ঞতার ফল যে ভালো কিছু হবে তা বলা কঠিন। সৌম্য- ইমরুল এমনিতে তারা ভালো ফর্মে নেই। তার উপর টানা শরীরের উপর চাপ প্রয়োগ। সঙ্গে যোগ হবে মানসিক চাপ। সৌম্য ও ইমরুলের ব্যাটে রানের বন্যা দেখা যাবে, এমন আশা করাও কঠিন। অধিনায়ক মাশরাফিও এমনটাই মনে করেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বলেন,যারা আসছে, তারাও কিন্তু দল থেকে ছিটকে পড়েছিল। আমি এখনও জানি না, আলোচনা হয়নি। তবে ওরাও কিন্তু পারফর্ম না করেই দল থেকে বাদ পড়েছিল। হুট করে এই কন্ডিশনে এই ধরনের টুর্নামেন্টে এসে আবার সেই চাপ নিয়ে কতটা পারবে। আমি জানি না, টেকনিক্যালি ওরা কতটা কাজ করেছে। যে সমস্যাগুলো নিয়ে দলের বাইরে গিয়েছিল, তা নিয়ে কাজ করেছে কিনা, জানি না। এগুলো সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আরও কঠিন বোলারদের খেলতে হবে। এটা নিশ্চিত যে যারা আছে, তাদের জন্য যেমন সহজ হবে না, যারা আসছে তাদের জন্যও সহজ হবে না। সূত্র: পূর্বপশ্চিম এমএ/ ০৮:৩৩/ ২২ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ONV4N6
September 23, 2018 at 02:45AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top