ঢাকা, ০৬সেপ্টেম্বর- ম্যাচ শেষে তখনও গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে দর্শক। বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়ে আবেগের জোয়ারে ভাসছেন তারাও। তা ভাসারই কথা, ২০০৯ সালের পর যে আবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের হাতছানি। যেখানে জয়েন নায়ক তপু বর্মণের উল্লাস অন্য যে কারও চেয়ে বেশি। ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন তপু। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলটির মাহাত্ম্য তার কাছে একটু বেশিই। সংবাদ সম্মেলনে এই ডিফেন্ডারের চোখেমুখে ছিল তৃপ্তির ঝিলিক, আমরা সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। এই আনন্দ অন্যরকম, তাও আবার গোলটি আমার করা। চিন্তা করতেই কেমন জানি লাগছে। আসলে সবাই মিলে পরিশ্রম করেছি, যার ফল মাঠে পেয়েছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে যে জেতা কঠিন হবে, তা জানা ছিল বাংলাদেশের। তপু সেটি উল্লেখ করে বললেন, আমরা জানি পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। সেটা জেনেই আমরা খেলেছি। তার ফলও তো পেয়েছি। ম্যাচের বিরতিতে কোচ জেমি ডে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলায় তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তপুর কথায়, ম্যাচের বিরতিতে কোচ আমাদের ভরসা দিয়েছেন। বলেছিলেন, পাকিস্তান দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। সুতরাং একই গতিতে খেলতে হবে। সেটা চিন্তা করেই আমরা খেলেছি। সফলও হয়েছি। কোচ জেমি ডে শিষ্যদের খেলায় সন্তুষ্ট, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। পাকিস্তান ভালো দল। তবে ফিটনেসের দিক দিয়ে আমরা এগিয়ে ছিলাম, যেটা মাঠে দেখা গেছে। কখনও কখনও গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছি। এখন শেষ ম্যাচে ভালো করতে হবে, তাহলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল। পাকিস্তানের ব্রাজিলিয়ান কোচ আন্তোনিও নোগুইরার বক্তব্য, দুদলই আক্রমণ করে খেলেছে। তবে মাঝমাঠে বল দেওয়া-নেওয়া হয়েছে একটু বেশি। বাংলাদেশ আমাদের প্রচেষ্টাগুলো ভালোভাবে ব্লক করেছে, আর আমরা গোলটা হজম করলাম থ্রো-ইন থেকে। আমরা এখনও প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যায়নি। সবার সুযোগ সমানই বলব। তথ্যসূত্র:বাংলা ট্রিবিউনে এইচ/২২:৫৫/০৬ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MSuLIu
September 07, 2018 at 04:55AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন