১৫০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস। বিধ্বস্থ ব্যাটিং লাইন-আপকে সামনে থেকে লড়াই করে টিকিয়ে রেখেছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে বাংলাদেশের মোট সংগ্রহ ২৬১ রান, তার অর্ধেকই ছিল মুশফিকের। এশিয়া কাপ ২০১৮ এর প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা করে দেখালেন মুশফিক সেটা এক কথায় অনন্য। অথচ এই ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না তার। ব্যথা নিয়েই নামতে হয়েছিল ব্যাটিংয়ে। তাও আবার এত দ্রুত ব্যাটিংয়ে যেতে হবে সেটা হয়তো ভাবেননি তিনি। ১৬ পর জাতীয় দলে ফেরা লাসিথ মালিঙ্গার করা প্রথম ওভারে লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান ফেরেন পরপর। এর পরের ওভারেই হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবালও। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে গড়ে ফেললেন অনন্য কীর্তি। ১.২ ওভারের সময় উইকেটে এসে আউট হোন ৪৯.৩ ওভারের সময়। এই লম্বা সময় ধরে আগলে রেখেছিলেন একপ্রান্ত। আর দেখছিলেন সতীর্থদের উইকেটে আসা যাওয়া। ১৪৪ রানের লম্বা ইনিংসে ছিল ১১টি চার আর চারটি ছয়। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এর আগে ওয়ানডেতে ছিল পাঁচটি শতকের ইনিংস। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে শতক হাঁকানো ইনিংস তাকে জায়গা করে দিয়েছে এশিয়া কাপের সেরা পাঁচ সর্বোচ্চ ইনিংসের কাতারে। যেখানে এক নম্বরের আছেন ১৮৩ রান করে ভারতের বিরাট কোহলি। দুই নম্বরের মুশফিকের সমান ১৪৪ রান করে পাকিস্তানের ইউনিস খান আছেন দ্বিতীয়তে। তিন নম্বরে মুশফিক, চার নম্বরে পাকিস্তানের শোয়েব মালিক আর পাঁচ নম্বরে আছেন এক নম্বরে থাকা বিরাট। দলের জয় আর নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মুশফিক বলেন, আমি মনে করি গত এক বছরে দুর্দান্ত খেলছিলাম এবং আমি এই টুর্নামেন্টে বড় রান করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আমি সত্যিই খুশি যে, দলের জয়ের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি। এমএ/ ০৪:২২/১৭ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MzJX8t
September 17, 2018 at 10:25PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন