বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কর্তৃক সার্টিফিকেটে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাক্তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতের পরিবর্তে ‘ব্লান্ট সিম্পল’ ইঞ্জুরি দেখিয়ে সার্টিফিকেট বিতরণ করেছেন। যাহা হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্ট্রারের সাথে কোনো মিল নেই। রোববার (৯ সেপ্টেম্ব) এমন অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দন্ডপানিপুর গ্রামের মৃত রোয়াব আলীর পুত্র বশির মিয়া (৩৬)।
অভিযোগে উল্লেখ, গত ৭ আগষ্ট প্রতিপক্ষের আক্রমনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ভর্তি হন। যার রেজিঃ নং- রুল ১/২। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার তারেক নুরুল ইসলাম মাথায় সেলাই ও বেন্ডিস করেন।
পরদিন তিনি ছাড় পত্রের মাধ্যমে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। মামলার প্রয়োজনে থানার এসআই নবী হোসেন মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য হাসপাতালে একটি আবেদন করেন। আর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ডাক্তার তারেক নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
কিন্তু সার্টিফিকেট পাওয়ার পর বাদিকে পুলিশ জানায় ওই সার্টিফিকেটে ইঞ্জুরি ‘ব্লান্ট সিম্পল’ এসেছে। তখন তিনি সার্টিফিকেটটি সঠিক ছিলোনা বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানান। এসময় তার কথামত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভর্তি রেজিষ্ট্রার পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান ভর্তি রেজিষ্ট্রার খাতায় কাটাছেড়া ও ঘষামাজা (ওভাররাইটিং) রয়েছে। তখন তিনি মোবাইলে ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট নার্সকে খাতাটি জব্ধ করে রাখার রির্দেশ দেন। মামলার জরুরী একটি সার্টিফিকেটে এমন অনিয়ম হওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন অভিযোগকারি বশির মিয়া।
এব্যপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ডাক্তার তারেক নুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2QgKNK7
September 09, 2018 at 04:33PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন