জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এখন তিনি আমিষ ছেড়েছেন। হঠাৎ করে কেন নিরামিষভোজী হলেন এই সুন্দরী? তামান্না বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে তাঁর পাঁচ বছরের আদুরে পোষা কুকুর পেবলস! তিনি বলেন, আদুরে কুকুরটি হঠাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি এমনিতেই প্রাণী প্রিয়। কিন্তু পেবলসের অসুস্থতা আমাকে প্রাণীর প্রতি আরও সদয় হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে। এ জন্যই আমি আমিষ ছেড়েছি। আমি যেমন প্রাণীপ্রিয়, তেমনি ভোজকরসিক। তাই নিরামিষ জীবনধারা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। যা হোক, গত মাসে আমি সচেতনভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পেবলস সত্যিই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, মারাত্মক পক্ষাঘাতে ভুগেছে সে। তামান্না জানান, পেবলস শুধু পোষা প্রাণীই নয়, সে পরিবারের একজন সদস্য। আমি তার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ। তাকে এ অবস্থায় দেখে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এমন কিছু ত্যাগ করতে হবে, যা আমি ভালোবাসি আর সে ক্ষতিপূরণও পায়। এটা আমার সচেতন উৎসর্গ। আশা করি, আমি সবুজ বিশ্বে পৌঁছে গেছি। তামান্না ভাটিয়া বলেন, আমিষ খাবার ত্যাগ করা খুবই কঠিন। তিনি মাংসপ্রিয় সাধারণ সিন্ধি পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছেন। তাই আমিষ ছাড়তে কষ্ট তো হবেই। তবু তামান্না মনে করেন, এটা নির্ভর করে ইচ্ছাশক্তির ওপর। আর খাওয়া না-খাওয়ার ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তামান্না ভাটিয়ার হাতে এখন বেশ কয়েকটি ছবির কাজকুইন, সাই রা নারাসিমহা রেড্ডি, কান্নে কালাইমান্নে ও এফ২ ফান অ্যান্ড ফ্রাসট্রেটিং। গত বছর কুনাল কোহলি পরিচালিত একটি ছবির শুটিং করেছিলেন তামান্না। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই মুক্তি পাবে ছবিটি। প্রসঙ্গত, তামান্না মূলত তেলুগু ও তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে চান্দ সা রোশন চেহ্রা ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং একই বছরে তেলুগু ও তামিল ছবিতে কাজ শুরুর আগে ইন্ডিয়ান আইডল-১ বিজয়ী অভিজিত সাওয়ান্তের আপ্কা অভিজিত এ্যালবামের লাফ্জো মে নামের একটি গানে তাঁকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। ২০০৫ এই তেলুগু ছবি শ্রী দিয়ে প্রথমবারের মতন তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তী বছর তিনি তার প্রথম তামিল ছবি কেদিতেও নাম লেখান। ২০০৭ সালে তিনি কলেজ জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তেলুগু ছবি হ্যাপি ডেস্ ও তামিল ছবি কাল্লোরি নামের নাট্যচিত্রেও অভিনয় করেন। তাঁর কাজগুলো হলো তামিল ছবি অয়ন (২০০৯), পাইয়া (২০১০) এবং সিরুথাই (২০১১)। ২০১১ সালে তিনি ১০০% লাভ (২০১১) করে তেলুগু ছবিতে ফিরে আসেন। তাঁর অন্যান্য ছবিগুলো হলো রাছা (২০১২), ক্যামেরামান গঙ্গা থো রামবাবু (২০১২), থাডাকা (২০১৩), আগাডু (২০১৪), বাহুবলীঃ দ্য বিগিনিং, বেঙ্গল টাইগার (২০১৫),ওপিরি (২০১৬) এবং বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন (২০১৭)। অতঃপর তিনি নিজেকে তেলুগু ছবিতে একজন সমসাময়িক অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ২৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QiMRRb
September 29, 2018 at 06:47PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন