নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বরঃ যশোর রোডের উপর বহুবর্ষজীবী গাছ কাটার উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। যশোর রোডে শর্তসাপেক্ষে ৩৫৬টি গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারা বলেছিল, যতগুলি গাছ কাটা হবে, তার পাঁচ গুণ গাছ লাগাতে হবে। এই নির্দেশের উপরই বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এমবি লোকুর এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, আপাতত একটি গাছও কাটা যাবে না।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৩৫ নম্বর জাতীয সড়কের উপর যে লেভেল ক্রসিংগুলি রয়েছে তার উপরে উড়ালপুল নির্মাণের জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন হয়। জাতীয় সড়কের উপর পাঁচটি উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তারা স্থির করেছিল, বারাসত ও বনগাঁর মাঝামাঝি স্থানে ওই পাঁচটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হলে অন্ততপক্ষে ৩৫৬টি গাছ কাটা পড়বে। এ ভাবে উড়ালপুল তৈরির তাগিদে বহু বছরের পুরোনো গাছগুলিকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন স্থানীয় মানুষ এবং এপিডিআর সহ বেশ কয়েকটি পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা। তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।
গত ৩১ অগাস্ট জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানায, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গাছ কাটা যেতে পারে, তবে তা শর্তসাপেক্ষে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায দেয়। যদিও হাইকোর্টের এহেন নির্দেশের পরই সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রতিবাদীরা। এ দিন শীর্ষ আদালতে গাছ বাঁচাও কমিটির তরফে মামলাটি লড়েন শামিম আহমেদ ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2NYw4W2
September 20, 2018 at 11:55PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন