আবু ধাবি, ২০ সেপ্টেম্বর- দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এখন ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যায় কালেভদ্রে। এশিয়া কাপের বদৌলতে দীর্ঘ ১৫ মাস পর ফের সেই সুযোগ এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটি তুমুল উত্তেজনার লড়াই দেখতে উদগ্রীব ছিলেন ক্রিকেটানুরাগীরা। তবে তাদের আশায় গুঁড়েবালি। পাক-ভারত মহারণ হলো বড্ড একপেশে। যেখানে জয়ী দলের নাম ভারত। চিরশত্রু পাকিস্তানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিত বাহিনী। গতকালই হংকংকে ২৬ রানে হারিয়েছে তারা। গেল বছর জুনে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। এরপর প্রথম মুখোমুখিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উড়িয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল টিম ইন্ডিয়া। টার্গেটটা ছিল খুবই ছোট, ১৬৩। সেই লক্ষ্যে উল্কার গতিতে ছুটে ভারত। শুভসূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ঝড় তোলেন রোহিত। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ধাওয়ান। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। শাদাব খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। এর আগে ধাওয়ানের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। এতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় ভারত। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ধাওয়ান। রোহিত শর্মার পথ অনুসরণ করেন তিনিও। ফাহিম আশরাফের বলে বাবর আজমের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন বাঁহাতি ওপেনার (৪৬)। ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে টিম ইন্ডিয়ার। বাকি কাজটুকু সারেন আম্বাতি রাইডু ও দীনেশ কার্তিক। ১২৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করেন তারা। আম্বাতি ও কার্তিক উভয়ই ৩১ করে রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তবে তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেননি দুই ওপেনার ফখর-ইমাম। স্কোরবোর্ডে ৩ রান উঠতেই ফিরে যান তারা। দুজনকেই শিকার বানান ভুবনেশ্বর কুমার। তৃতীয় উইকেটে শোয়েব মালিককে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন বাবর আজম। দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলেছিলেন তারা। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাবর-মালিক ফিরে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তারা। কুলদ্বীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর (৪৭)। অবস্থা আরও খারাপ হয় ব্যক্তিগত ৪৩ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে মালিক ফিরলে। মাঝে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সরফরাজ-আসিফ। এরপর মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষদিকে ক্রিজে থাকতে প্রাণপণে লড়াই করেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ আমির। ব্যক্তিগত ২১ রানে বুমরাহর শিকার হয়ে ফাহিম ফিরলে তাদের লড়াইও থামে। ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন আমির। পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও কেদার যাদব। উভয়ই নেন ৩টি করে উইকেট। যোগ্য সহযোদ্ধার মতো এ দুজনকে সমর্থন দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তার শিকার ২ উইকেট। সূত্র: যুগান্তর এমএ/ ১২:২২/ ২০ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xlLHNK
September 20, 2018 at 06:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন