মানুষের সাথে মানুষের নিঃস্বার্থ সম্পর্কগুলো টিকে থাকে ভালোবাসার কারণে। তবে সে প্রেম বা ভালোবাসা সবার জীবনে সুখ বয়ে আনে না। ভালোবাসার কারণে কেউ বিশ্বজয় করে ফেলেন। আবার কেউ কেউ সব হারিয়ে হয়ে যান নিঃস্ব। আর এমন একজনই হলেন বলিউড তারকা বিবেক ওবেয়র। ঐশ্বরিয়া রাইকে ভালোবাসার জন্য যাকে মূল্য দিতে হয়েছে চড়া দামে। বলিউডের আকাশে জ্বলজ্বল করা তারা হিসেবেই আবির্ভাব হয়েছিলো বিবেকের। কিন্তু সে ক্যারিয়ার খুব বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি এ তারকা। শোনা যায়, বলিউডের লাস্যময়ী তারকা ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের খেসারত স্বরূপ নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে। যা শোনা গিয়েছিলো তা মিথ্যা নয়। সেসময় ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেমের কারণে বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খানের সাথে এক নীরব স্নায়ুযুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন বিবেক। আর সেই স্নায়ুযুদ্ধ একসময় রূপ নেয় বাকযুদ্ধে। গণমাধ্যমে সালমানকে নিয়ে দেয়া বক্তব্যের পরই মূলত বিবেকের ক্যারিয়ারে ঝামেলা হতে শুরু করে। আর সেই বক্তব্যের উস্কানি দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এই অভিনেত্রী মূলত প্রেমের নামে বিবেককে ব্যবহার করেছেন সালমানের উপর জেদ করে। বলা যেতে পারে সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেমের বলি বিবেকের ক্যারিয়ার। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেছেন বিবেক ওবেয়র। পাঠকদের জন্য সে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো- বলিউড মুখোশের দুনিয়া বলিউড সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে বিবেক বলেন পেশাদার জীবনে লাভ ক্ষতিকে সামলে নিতেই অভ্যস্ত ছিলাম। তবে বলিউড আমার পেশাদার জীবনের ধারনা বদলে দেয়। এই জগতটা আসলে মুখোশে ঢাকা। এখানের মানুষগুলো পর্দায় যতটা নায়কোচিত ভাব ধারন করেন বা ভালো মানুষির মুখোশটা পড়েন, পর্দার বাইরে ঠিক তার উল্টোটাই করেন। নিজের স্বার্থের জন্য অন্য কারো বড় কোনো ক্ষতির জন্য দ্বিধাবোধ করেন না কেউ। বলিউডে আর ফিরবেন? সালমান খানের বিরুদ্ধে দেয়া গণমাধ্যমে বক্তব্যটিই আমার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছিলো। সে বক্তব্য আজ আমাকে এই নিঃস্ব অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে। নয়তো ক্যারিয়ারে একের পর সফলতার গল্প লিখলেও লিখতে পারতাম। পায়ের নিচের মাটি হারিয়েছি। অনেক দূর চলে এসেছি এখন আর চাইলেও ফেরা সম্ভব না। ফেরার ইচ্ছাও নেই। ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কে মূল্যায়ন আসলে আমি এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্কটা শেষ করেছিলাম যে আসলে আমার জীবন সঙ্গিনী হওয়ার জন্য উপযুক্ত ছিলো না। সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। বরং যা হয়েছে আমি মনে করি ভালোই হয়েছিলো। সেই অন্ধকার আর কঠিন সময়কে পাশ কাটিয়ে এখন দাতব্য স্কুল, হাসপাতাল এবং জনসেবামূলক কর্মকান্ডে বেশ ভালোই দিন যাচ্ছে। আপনার সাথে যা হয়েছিলো তা কিভাবে দেখছেন? দেখুন সালমান বলিউডে নিজেকে আরো উজ্জ্বলভাবে মেলে ধরেছেন, ঐশ্বরিয়াও নিজের জীবন গুছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমার পক্ষে ধাক্কাটা সামলে ওঠা সম্ভব হয়নি। এক কথা বললে ইট ওয়াজ আনফেয়ার। যা হয়েছিলো তা ঠিক হয়নি। বা তেমনটা হওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু তবুও জীবন থেমে থাকেনি, তার নিয়ম অনুযায়ী চলে যাচ্ছে। সালমানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কি বলেছিলেন? সালমান আমাকে প্রকাশ্য মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন এবং তার আগের দিন আমাকে প্রায় ৪১ বার ফোন দিয়েছিলেন হুমকি দেয়ার জন্যে। এই বিষয়টিই আমি প্রকাশ করেছিলাম নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে। সালমান কি প্রভাব খাটিয়েছেন? আমার বিরুদ্ধে অনেকটা ফতোয়া ইস্যুর মতো করে অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছিলো ইন্ড্রাস্ট্রিতে। হিট ছবি দেয়ার পরও কাজ করতে কেউ আগ্রহী হচ্ছিলো না আমাকে নিয়ে, আমার সাথে। এসবের পরই শ্যুটআউট এট লখৌন্ডয়ালা মুক্তি পেয়েছিলো যা ছিলো ব্লকবাস্টার হিট। কিন্তু তারপরেও প্রায় এক বছর আমি বেকার বসে ছিলাম। এইসব বিষয় স্বাভাবিক ছিলোনা। কেউ একজন কলকাঠি নেড়েছেন আড়াল থেকে। আমার ব্যাক্তিগত জীবন এলোমেলো করে দেয়া হয়েছিলো। তখন আর লক্ষ্য স্থির রাখা সম্ভব হয়নি। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/ ২৭ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2IomsyM
September 27, 2018 at 09:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন