কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর- বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন ইউরোপ সফরে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই রাজ্যে ঘটে গিয়েছে বিরাট দুর্ঘটনা। স্কুলে উর্দূ শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলি লেগে প্রাণ হারিয়েছে ২ ছাত্র। আর তা নিয়ে রীতিমতো ধুন্ধুমার রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে মুখ খুলেই একের পর এক বোমা ফাঁটালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি অভিযোগ, # তিনি যখনই রাজ্যের বাইরে থাকছেন তখনই ষড়যন্ত্র করে অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা করছে বিরোধীরা। কখনও সিপিএম, কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি, পালা করে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। # ইসলামপুরে ছাত্রদের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়নি। বিজেপি-আরএসএস গুণ্ডা ভাড়া করে গুলি করে ছাত্রদের মেরেছে। মহরমের আগে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা। # মোদি-অমিত শাহর ব্যর্থতা ঢাকার জন্য, পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা সমালানোর জন্য, রাফেল দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য খুন করে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এটাই ওদের সর্বশেষ এবং সর্বনাশা খেলা। # প্রসঙ্গত, ইসলামপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপি বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনধ প্রসঙ্গেও এদিন পালটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বনধ ডাকা টা খেলা হয়ে গিয়েছে। নিজেরাই গুলি করে মারছে। আবার নিজেরাই বনধ ডাকছে। # কখনও দাঙ্গা, কখনও গণপিটুনি, কখনও বনধ। বাংলা ইউপি নয়, বিজেপির নেতাদের বুঝতে হবে এটা বিহার-ইউপি নয়। বাংলা এখনও বাংলায় আছে। বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে মমতার আবেদন, শান্তিপূর্ণভাবে বনধের মোকাবিলা করুন। ইতালি থেকে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের প্রতি সমর্থন আছে, ছাত্রছাত্রীদের কী করে জানবে কোন শিক্ষক যোগ দিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীরা ঠিক করতে পারবেন না, সংস্কৃত শিক্ষক যদি যোগ দিতে পারে উর্দু কেন পারবে না। অনেক জায়গা বাংলায় আছে যেখানে সংস্কৃত-উর্দু-নেপালি-গুরুমুখি ভাষা ১০ শতাংশের বেশি। তাই কোনও উর্দূ শিক্ষক কাজে যোগ দিতে গেলে আমি বাধা দিতে পারি না। আমি যে কোনও পড়ুয়ার পাশে আছি। পড়ুয়ার মৃত্যু সমর্থনযোগ্য নয়। স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ করেন, ইস্যুটাকে ধর্মীয়করণ করা হয়েছে। দাঙ্গা বাধানোর জন্য পরিকল্পনা করে সশস্ত্র গুন্ডাদের আনা হয়েছিল। যে বন্দুকের গুলিতে ছাত্ররা মারা গিয়েছেন তা পুলিশের ছোঁড়া গুলি নয়। ইসলামপুরে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে বিজেপি-আরএসএসের ভাড়া করে আনা গুণ্ডারা। ছাত্রদের মৃত্যুর জন্য বিজেপি দায়ী , আরএসএস দায়ী। বিজেপি-আরএসএসকে এর দায় নিতে হবে। বিজেপির নোংরা রাজনীতি আমরা সমর্থন করতে পারি না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-অসমের সীমান্ত থেকে বাংলায় হামলা চালানো হচ্ছে। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন একে/০৬:৪০/২২ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NwDwbB
September 23, 2018 at 12:39AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন