বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে রুমী আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক শফিক মিয়া (৩২) হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। এ সময় আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ নেন।
এদিকে তরুণী হত্যায় অভিযুক্ত শফিক মিয়াকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায়নি পুলিশ। তবে রিমান্ডের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর ব্যপারে তিনি বলেন- ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে জবানবন্দীতে কি বলেছে এখনো তার আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের তবারক আলীর বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা হিসেবে রুমীর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ঘটনার ১০ দিনের মাথায় অজ্ঞাত ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান এ কথা জানান।
তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন- অজ্ঞাতনামা ওই কিশোরীর গলায় প্যাঁচানো ওড়নার দুই পাশের দুই মাথায় পলিথিন দ্বারা মোড়ানো সাদা কাগজে লেখা দুটি মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাচক্রে পুলিশ ওই ঘটনার সাথে গত ১৭ মাস আগে একই জায়গায় আরো একটি হত্যাকাণ্ডের মিল পায়।
তদন্তের এক পর্যায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ লাশের সাথে পাওয়া মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে মামলার অগ্রগতির সম্ভাবনা জেলা পুলিশ সিলেটকে জানালে বিষয়টি আমলে নেয়া হয়। এরপর টাঙ্গাইল থানার কুমুদিনি হাসপাতাল থেকে রুমী আক্তার নামের এক রোগী নিখোঁজের সুত্র ধরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে- সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার নগরভাত গ্রামের মো. আতাউর রহমানের মেয়ে।
এ ঘটনায় একটি মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) শফিক মিয়া নামের একজনকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় নাসির গ্লাস ফ্যাক্টরি থেকে আটক করে পুলিশ। শফিক মিয়া বিশ্বনাথ থানাধীন রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওহাব উল্লার ছেলে।
এদিকে শফিক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান- রুমী আক্তার হত্যাকাণ্ডে শফিক মিয়া ও ইমরান নামের একজনসহ তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তাকারী হিসেবে মোট ১৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2NSRDYf
September 20, 2018 at 10:29PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন