দুবাই, ২৯ সেপ্টেম্বর- পর্দা নেমেছে এশিয়া কাপের। এশিয়া কাপে তিনজন বোলার ১০টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে একজন মুস্তাফিজুর রহমান। ৫টি ম্যাচ খেলেছেন। সব মিলিয়ে ২৫২টি বল করেছেন। ১৮৫ রান দিয়েছেন। উইকেট তুলে নিয়েছেন ১০টি। মুস্তাফিজ ছাড়া ১০ উইকেট নেয়া বাকি ২ বোলার হলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান ও ভারতের কুলদ্বীপ যাদব। রশিদ খান ৫ ম্যাচে ২৭৭ টি বল করে ১৭২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। যাদব ৬ ম্যাচে ৩৪৮ টি বল করে ২৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ১০ টি উইকেট। কিন্তু খেলার প্রয়োজনী মুহুর্ত এবং সব কিছু হিসাব করলে সেরা বোলার কোন সন্দেহ ছাড়াই মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের কল্যাণে বাংলাদেশ ৩টা ম্যাচ জিতেছে। একই সাথে ফাইনালে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পেরেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুস্তাফিজ ছিলেন দারুন কর্যকরী বোলার। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও মুস্তাফিজ যাদুতে ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও এই মুস্তাফিজই চাপিয়েছেন প্রতিপক্ষের উপর বোঝা। গতরাতে ফাইনালে সেই মুস্তাফিজই আরও একবার জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি।তবে গতরাতে বাংলাদেশের তিন পেসারই ছিলেন উজ্জল। বিশেষ করে রুবেল হোসেন যেন পন করেই নেমেছিলেন বল মারতে দিবেনই না।এদিকে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার পথে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত অবদান ছিল মুশফিকুর রহীমের। বাংলাদেশী এই তারকা ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০২ রান করেছেন। মুশফিকের রান বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ হলেও এশিয়া কাপে তার স্কোর তৃতীয় সর্বোচ্চ। মুশফিকের সামনে আছে দুই ভারতীয় ব্যটসম্যান শিখর ধাওয়া ও রোহিত শর্মা। ধাওয়ান ৫ ম্যাচে ৩৪২ রান করে সবার উপরের আসনে বসে আছে। ৫ ম্যাচে ৩১৭ রান করে দুই নম্বরে আছে রোহিত শর্মা। তালিকার ৪ থেকে ১০ নম্বরে যথাক্রমে আছেন আফগান তারকা শাহজাদ (২৬৮) ও হাসমত উল্লাহ (২৬৩), পাকিস্তানের দুই তারকা ইমাম উল হক (২২৫), শোয়েব মালিক (২১১), বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান লিটন দাস (১৮১), ভারতীয় ব্যাটসম্যান রাইডু (১৭৫), বাংলাদেশী তারকা মাহমুদউল্লাহ (১৫৬)। এবার ট্রফি না জিততে পারলেও, মুস্তাফিজের সেরা বোলার নির্বাচিত হওয়া ও মুশফিকের অনন্য ব্যাটিং যে সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে, সেটা দিয়ে টাইগারেরা আবারো সারা বিশ্বকে চিনিয়ে দিল তাদের জাত। এছারাও আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এই এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে লাগবে। বাংলাদেশ এই এশিয়া কাপের মধ্য দিয়ে জানতে পেরেছে নিজেদের স্পিন বল খেলার দুর্বলতা। ভারত পাকিস্তান, আফগানিস্তানের কোন কোন দুর্বলতা রয়েছে। যেগুলো সামনের ২০১৯ বিশ্বকাপে এই দল গুলির বিপক্ষে জয় এনে দিতে সাহায্য করবে। ভারত ফাইনালে অনেক বিতর্কিত হয়ে ট্রফিটা তাদের হাতে নিলেও, বাংলাদেশের যে সম্মান ও অভিজ্ঞতা পেয়েছে সেটা ট্রফির চাইতেও অনেক দামি পুরস্কার এবং সেটা নিয়েই বিকেলে দেশে ফিরছে টাইগার বাহিনী । আরএস/ ২৯ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2P4Z2Re
September 29, 2018 at 11:34PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top