ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর- ম্যাচ শেষ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম যেন একখণ্ড নেপাল। দর্শক গ্যালারি থেকে ভেসে আসছে নেপাল, নেপাল চিৎকারের ঠেউ। উড়ছে পতাকা। নেপালের এই উৎসবের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ, বৃহস্পতিবার সাফ সুজুকি কাপে ভুটানের বিপক্ষে স্বাগতিকদের মতোই খেলল নেপাল, ৪-০ গোলে এক রকম উড়িয়ে দিল ভুটানকে। স্টেডিয়ামের পশ্চিম গ্যালারির দুপাশ আর ভিআইপি গ্যালারিতে একঝাঁক নেপালি দর্শকদের উপস্থিতি। পুরো ম্যাচে এভাবেই নিজ দেশকে সমর্থন দিয়ে গেলেন তারা, কে বলবে বিদেশের মাঠে খেলছে নেপাল! এই জয়ে নেপাল জমিয়ে দিল এ গ্রুপের লড়াই। চার দলের এ গ্রুপটাকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল কঠিন গ্রুপ। নেপাল, ভুটানের সঙ্গে যেখানে পাকিস্তান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২-১ গোলে নেপালকে, আর বাংলাদেশ ২-০ গোল ভুটানকে হারিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। নেপাল-ভুটান ম্যাচ ড্র হলে সমীকরণ সহজ হয়ে যেত বাংলাদেশের জন্য। এমনকি পাকিস্তানের জন্যও। কিন্তু, এখন নেপালের জয় মানে সেমির সমীকরণ সহজ রাখতে পাকিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খোলসে বন্দি ছিল নেপাল। ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও গোছাল ফুটবল খেলতে পারেনি। আক্রমণ ভাগ ছিল নিষ্প্রভ। ফলাফল প্রতি আক্রমণে খেলা পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ম্যাচ। তবে এদিন প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ভুটানকে কোণঠাসা করে রাখল হিমালয়কন্যার দেশ। প্রথমার্ধে এক গোল আদায় করলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল করে দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেপাল। বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াতে না পারা ভুটান নেপালের বিপক্ষেও শুরু থেকে পিছিয়ে ছিল। ভালো আক্রমণে যাওয়া তো দূরে থাক, সমন্বয়হীনতা ফুটে উঠলো শুরু থেকেই। রক্ষণ আটোসাটো রেখে বারবার আক্রমণে যাচ্ছিল নেপাল। আদায় করে নিচ্ছিল কর্নার কিক। ম্যাচের ২১ মিনিটে তেমনই এক কর্নার থেকে এগিয়ে যায়। সুনিল বালের নেয়া কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান অনন্ত তামাঙ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও এই ভুটান যে প্রতিপক্ষকে জবাব দিতে পারবে না, আঁচ করা গেল ভালোভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে ভুটান একবার জাল খুঁজে পেলেও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। অবশ্য গোলটি হলে কিন্তু একটু খুশিই হতেন বাংলাদেশের দর্শকরা। কিন্তু, নেপাল যে এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের গ্লানি দূর করতে মাঠে নেমেছে। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফের এগিয়ে যায় তারা। আক্রমণে উঠা এক ফরোয়ার্ডকে ডি-বক্সের ভেতরে ফেলে দেন নিমা ওয়াঙদি। রেফারি পেনান্টির বাঁশি বাজালে তর্কেও জড়ান তিনি। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বিমলের স্পট কিক বাম দিকে ঝাপিয়ে ফিরিয়ে দেন ভুটানের গোলরক্ষক দেনদুপ। ফিরতি শটে জালে জড়ান সুনিল বাল, যার এসিস্ট থেকেই প্রথম গোলটি করেছিলেন বিমল। এরপর ১০ জনের ভুটানের যা হওয়ার তাই হলো। ৭৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে ব্যবধান ৩-০ করেন ভারত খাওয়াজ। ততক্ষণে ভুটান ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেছে। এরপর ৮৩ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল থেকে ভারত খাওয়াজ আরেকবার কাঁপিয়ে দেন ভুটান রক্ষণকে। সুজল শ্রেষ্ঠর দুর্দান্ত ব্যাক ভলি ফেরান গোলরক্ষক। তবে ৮৮ মিনিটে নিরঞ্জনের শট আর ফেরাতে পারেনি ভুটানের গোলরক্ষক, ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেপাল। এই গোলেও অবদান সুনিল বালের। নিজে গোল করেছেন একটি। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন একটি। আগামী শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে নেপাল। ভুটান খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তথ্যসূত্র:পরিবর্তন এইচ/২০:১৩/০৬ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wRpZAm
September 07, 2018 at 02:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন