আবু ধাবি, ১৮ সেপ্টেম্বর- ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারল না শ্রীলংকা। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ১৩৭ রানে হেরেছিল লংকানরা। ফলে টিকে থাকতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ভিন্ন কোনো পথ খোলা ছিল না তাদের। কিন্তু পারল না তারা। আফগানদের কাছে ৯১ রানে হেরে গেল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এরই সঙ্গে এশিয়া কাপের ১৪তম আসর থেকে বিদায় ঘটল তাদের। এ জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানের। সুপার ফোরে উঠল বাংলাদেশও। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল টাইগাররা। আফগানদের বিপক্ষে লংকানরা হারলেই পরের পর্বে যেত তারা। অবশেষে তাই আলোর মুখ দেখল। জবাবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি শ্রীলংকার। প্রথম ওভারেই মুজিব-উর-রহমানের শিকার বনে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা। ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ধনঞ্জয়াও। কিন্তু হঠাৎই ভুল বোঝাবুঝি। দলীয় ৫৪ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। টপঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন থারাঙ্গা। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কুশল পেরেরা। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রশিদ খানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পরক্ষণেই হার মানেন থারাঙ্গা। গুলবাদিন নায়েবের শিকারে পরিণত হন তিনি। এর আগে ৬৪ বলে ৩ চারে ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন থারাঙ্গা। এতে বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলংকা। সেই বিপর্যয়ের মধ্যে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শেহান জয়াসুরিয়া। এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ধীরে ধীরে জমে উঠছিল তাদের জুটি। আফগানদের চোখ রাঙাতেও শুরু করেন তারা। তবে আশা দেখিয়েও নিভিয়ে দেন ম্যাথুস। মোহাম্মদ নবীকে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে রশিদ খানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে করেন ২২ রান। এতে ফের বিপাকে পড়ে শ্রীলংকা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। খানিক বাদেই মুজিবের শিকার হয়ে ফেরেন দাসুন শানাকা। ৩৮.২ ওভারে সেই পথ ধরেন আকিলা ধনাঞ্জয়া। শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব, রশিদ, নায়েব, নবী প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। এর আগে আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগার আফগান। শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানুল্লাহ। দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ৩৪ রান করে বিদায় নেন শাহজাদ। তবে থেকে যান ইহসানুল্লাহ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন নতুন ব্যাটসম্যান। তবে হার মানেন ইহসানুল্লাহ। ৪৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। খানিক বাদেই ফিরে যান অধিনায়ক আসগার। পরে হাশমতুল্লাহ শহিদিকে নিয়ে এগিয়ে যান রহমত। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন শহিদি। এতে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় আফগানিস্তান। ঠিক তখনই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রহমত। ফেরার আগে লংকান বোলারদের ভালোই ভোগান তিনি। ৯০ বলে ৫ চারে ৭২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন রহমত শাহ। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি শহিদি। ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি। পরে মোহাম্মদ নবীর ১৫, নজিবুল্লাহ জাদরানের ১২ ও রশিদ খানের ১৩ রানের সুবাদে স্কোর বোর্ডে ২৪৯ তোলে আফগানরা। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন মুজিব-উর রহমান। শ্রীলংকার হয়ে ৫৫ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন থিসারা পেরেরা। তবে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি ১০ ওভারে দেন ৬৬ রান, উইকেট শিকার একটি। আকিলা ধনঞ্জয়া নেন ২ উইকেট। এমএ/ ০৮:২২/ ১৮ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PLmFOP
September 18, 2018 at 02:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top