নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বরঃ শিশুরাই জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ডকে শক্তপোক্ত করতে শিক্ষা অপরিহার্য, যা অনেকটাই ছাত্রছাত্রীরা পায় বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মাধ্যমে। স্কুলে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি এবিষয়ে একটা বড়ো বাধা। এই অনুপস্থিতির কিছুটা হয় ভোটের সময়। কারণ, ভোটের কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়। সরকারি নির্দেশ মানতে তাঁরা বাধ্য। ভোটের দায়িত্বে নিযুক্ত শিক্ষকরা একটা নির্দিষ্ট সময় স্কুলে আসতে পারেন না। তাতে কোপ পড়ে পঠনপাঠনে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শিশু অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন (এনসিপিসিআর)। বিষয়টি নিয়ে কমিশনকে তারা চিঠিও দিয়েছে। এনসিপিসিআর-এর বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর বিদ্যালয়ে ২২০ দিন পঠনপাঠনের জন্য রাখতেই হবে।
এক দেশ এক নির্বাচন শীর্ষক আলোচনায় শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সরব হয়েছে কমিটি। ২০১৭-য় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু তথ্য। ২০১৫-১৬ সালে গুজরাট, কর্ণাটক, ওডিশা ও উত্তরাখণ্ডের ১৫.১৪ শতাংশ শিক্ষককে ভোটের সময় বুথে কাজ করতে হয়েছিল। শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের শুধু পঠনপাঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেইসঙ্গে মিড-ডে মিলের কর্মসূচিও বাধা পায়।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2pjhJWk
September 18, 2018 at 07:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন