ঢাকা, ০৩ অক্টোবর- মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-বুঝি একেই বলে! পঞ্চপাণ্ডবের দুই সেনানী সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে তারা থাকছেন না। এই দুই মূল স্তম্ভই শুধু নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলা নিয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজারও। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেই আঙুলে ব্যথা বেড়েছে। আসলে তার আঙুল মচকে গেছে। এর পাশাপাশি বল লেগে উরুতেও ব্যথা পেয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এ দুই ইনজুরি সাকিব-তামিমের মতো গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদী না হলেও মাশরাফি যে সাময়িকভাবে অস্বস্তিতে-তাতে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন উঠেছে, বোলিং হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের ইনজুরি আর উরুর পেশিতে বল লাগার ব্যথামুক্ত হয়ে মাশরাফি কি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারবেন? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু শঙ্কিত নন। তার বিশ্বাস, মাশরাফি খেলতে পারবেন। ২১ অক্টোবর শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগেই মাশরাফি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদি তিনি। বুধবার সকালে নান্নু জানান, আমরা আশাবাদি, মাশরাফির যে সমস্যা তা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে। আমার মনে হয় না অধিনায়কের খেলা নিয়ে কোনো সংশয় আছে। সে খেলতে পারবে। প্রধান নির্বাচক এমন আশার বাণী শোনালেও বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর ভাবনা অন্যরকম। তার ব্যাখ্যা, হাত ও পায়ের যে কোনো মচকে যাওয়া ইনজুরি ঠিক হতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লাগে। মাশরাফির হাতে যে ব্যান্ডেজটা আছে, তা দুসপ্তাহ পর খোলা হবে। তখন সত্যিকার অবস্থা বোঝা যাবে। তবে সাধারণত এসব ইনজুরি ভালো হতে ২১ দিনের মতো সময় লাগে। আর উরুর ইনজুরি সম্পর্কে ডাক্তার দেবাশীষের ব্যাখ্যা, সেটা গুরুতর কিছু নয়। বিশ্রাম পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। মাশরাফি যেহেতু এখন পুরোপুরি বিশ্রামে আছেন, তাই উরুর ইনজুরি মুক্ত হতে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। প্রধান নির্বাচক ও বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের কথায় যে খুব বড় গড়মিল আছে, তা নয়। ইনজুরির ধরণ নিয়ে দুজন একই সুরে কথা বলেছেন। কিন্তু মত-পার্থক্যটা আসলে সময়ের। নান্নু মনে করছেন, মাশরাফির ইনজুরি দুই সপ্তাহে মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারবেন টাইগার অধিনায়ক। আর ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী, মাশরাফির সুস্থ হতে লাগবে তিন সপ্তাহ। দিন-ক্ষণের হিসেব কষলে আগামী ১৯ অক্টোবর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে। জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। ধরেই নেয়া যায়, মাশরাফি অনুশীলনের শুরু থেকে থাকতে পারবেন না। ১৯ অক্টোবর ফিরলেও এক বা দুইদিনের প্রস্তুতিতে ২১ অক্টোবর প্রথম ওয়ানডে তিনি খেলতে পারবেন কি না, বা তাকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। মোদ্দা কথা, ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে সুস্থ হয়ে অনুশীলনে যোগ দিতে না পারলে মাশরাফির প্রথম ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা কম থাকবে। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/ ০৩ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Pb6fQ8
October 03, 2018 at 06:38PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top