কলকাতা, ২৫ অক্টোবর- প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বেহালায় তৈরি হবে কমিউনিটি হল। কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সম্প্রতি এই কমিউনিটি হল তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। কিন্তু এত খরচ করে কমিউনিটি হল তৈরির যৌক্তিকতা কী, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে পানীয় জল, আলো, রাস্তা-সহ বেশ কিছু নাগরিক পরিষেবাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অডিটোরিয়াম, স্যুইমিং পুল তৈরি-সহ যেগুলি প্রাথমিক পুর পরিষেবার কাজ নয়, সেগুলির ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়াকড়ি শুরু করেছে দফতর। সেখানে বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয়ে কমিউনিটি হল তৈরির প্রকল্প নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি পুরনো প্রকল্প। নগরোন্নয়ন দফতর অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করার অনেক আগেই ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে মেয়র পরিষদের বৈঠকে তা পাশ করানো হয়েছে মাত্র। পুরসভা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে অজন্তা সিনেমা হলের বিপরীতে ওই কমিউনিটি হলটি তৈরির জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কারণ, যে জমিতে ওই কমিউনিটি হল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তা রাজ্য সরকারের। পুরসভা ও সরকারি প্রতিনিধিরা ওই জমি পরে সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি রিপোর্টও তৈরি করেন। তার পরেই প্রস্তাব আকারে তা মেয়র পরিষদের বৈঠকে তোলা হয়। পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, এ নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়লেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে দোলাচলে রয়েছে পুর প্রশাসন। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কড়াকড়ির বিষয়টিও এই মুহূর্তে পুর প্রশাসনের অন্দরমহলে আলোচ্য বিষয়। কারণ, কোন প্রকল্পের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের থেকে অর্থ চাওয়া হবে, তারই তালিকা তৈরি করছেন আধিকারিকদের একাংশ। নগরোন্নয়ন দফতরের থেকে প্রস্তাবিত হল তৈরিতে অর্থ সাহায্য না-চাওয়া হলেও পুরসভার ভাঁড়ার থেকে এখন দেড় কোটি টাকা খরচ করা কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই সরকারি অনুমতির আগে ওই কমিউনিটি হল তৈরির কাজ শুরু হবে, না কি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। যদিও এক পদস্থ পুর আধিকারিকের কথায়, কমিউনিটি হল তৈরির খরচ পুরসভাই বহন করবে বলে এখনও ঠিক রয়েছে। কিন্তু জমি যেহেতু রাজ্য সরকারের, তাই অনুমোদনেরও একটা বিষয় থাকে। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই। ১৩ নম্বর বরো অফিস সূত্রের খবর, এক সময়ে ওই সরকারি জমি জবরদখল হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কোনওমতে তা ঠেকানো যায়। কিন্তু ফের তা ফেলে রাখা হলে ওই জমি প্রোমোটারদের দখলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই সেখানে কমিউনিটি হল তৈরির প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, যেখানে-সেখানে কমিউনিটি হল তৈরির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রয়োজনের ভিত্তিতে তো তৈরি করা যেতেই পারে। বেহালার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলছেন, ওয়ার্ডে একটিও কমিউনিটি হল নেই। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্যই কমিউনিটি হল পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভাই টাকা দেবে বলেছে। আর্থিক অনুমোদনও তো হয়ে গিয়েছে শুনেছি। দেখা যাক কী হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার একে/০৫:৩৫/২৫ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2D526e2
October 25, 2018 at 11:35PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.