বাংলাদেশ ঘরোয়া ফুটবলে নতুনের আগমনে বরাবরই জ্বলেছে আশার প্রদীপ। ওই প্রদীপ দপ করে নিভে যেতেও সময় লাগেনি। চুন খেয়ে মুখ পোড়ানো ব্যক্তি যেমন দই দেখলে ভয় পায়, ফুটবলপ্রেমীদের অবস্থায় অনেকটা তেমনই! এখন আর নতুনত্ব সেভাবে স্বপ্ন দেখাতে পারে না। অনেক নতুনত্বের জন্ম দিয়ে শীর্ষ লিগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া বসুন্ধরা কিংসকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে হয়তো অনেকে ভয় পাচ্ছেন। একটি দেশের ফুটবলের রঙ-রূপ নির্ভর করে ক্লাবের ওপর। ক্লাব এবং লিগের মানের ওপর নির্ভর করেই দাঁড়ায় জাতীয় দল। নব্বইয়ের দশকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, হালে শেখ রাসেল, শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় ডালপালা মেলেছে নতুন স্বপ্ন। ক্লাবগুলোর সূচনালগ্ন কিংবা নতুন রূপে আত্মপ্রকাশের সময়কার ঘোষণার কারণেই আসলে ফুটবলপ্রেমীদের স্বপ্ন দেখা। যুব উন্নয়ন, একাডেমি কার্যক্রম, বয়সভিত্তিক দল গড়ার ঘোষণাগুলো শেষ পর্যন্ত আলোর মুখে দেখেনি। বাংলাদেশ ফুটবলও নির্দিষ্ট গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। গ্রাফটা বরং নিম্নগামী ছিল। খাদের কিনারা থেকে এখন জাতীয় দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন জেমি ডে। এ অবস্থায় নতুনের জয়গান গেয়ে ঘরোয়া ফুটবলে আত্মপ্রকাশের প্রতীক্ষায় কিংস। এর আগে লিগে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুটবল ক্লাব হয়ে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন কিংসের নীতিনির্ধারকরা। সেটা আদৌ বাস্তবায়িত হয় কিনা, সময়ই তা বলবে। এখন পর্যন্ত কার্যক্রম আশাবাদী হওয়ার মতোই। কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসকে দলভুক্ত করা। ব্রাজিল ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা মার্কোস ভিনিসিয়াসকে উড়িয়ে আনা। স্কোয়াডে আছেন জর্জ গোটর নামের আরেক পরীক্ষিত ফুটবলার। তাদের পাশে থাকছেন একঝাঁক তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার; যারা গত কয়েক মৌসুম নিয়মিতই আলো ছড়িয়েছেন। দল গড়ার আগেই পুরো পেশাদারি কোচিং-স্টাফ দাঁড় করিয়েছে কিংস। ঢাকার ফুটবলে প্রাক-মৌসুম কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় কোনো দলের বিপক্ষেই প্রীতি ম্যাচ খেলতে দেখা যায় ক্লাবগুলোকে। বসুন্ধরা কিংসের প্রাক-মৌসুম কার্যক্রম শুরু হয়েছে মালদ্বীপের ক্লাব নিউ রেডিয়ান্টের বিপক্ষে, ৪-১ গোলের জয় দিয়ে। পূর্ণাঙ্গ একাডেমি, স্টেডিয়ামের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ক্লাব নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে। ওই ঘোষণা বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন। এর আগ পর্যন্ত ফুটবলারদের অত্যাধুনিক যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তাতে আপ্লুত দলের ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, বসুন্ধরা কিংস নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ক্লাব কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চান কিংস কর্মকর্তারা। সে প্রচেষ্টার সঙ্গী হতেই এ ক্লাবে এসেছি। ফুটবলে ভালো করতে হলে মাঠ এবং বাইরে যা প্রয়োজন, তার সবই আছে এখানে। দুটি ঘোড়ার গাড়ি, ২৫টি বাস, ১৫ মাইক্রো বাসে আসা খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-সমর্থকরা বসুন্ধরা থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আসেন বিশাল মোটরসাইকেল বহরকে অনুসরণ করে। আড়ম্বরপূর্ণ দলবদল কার্যক্রমে এসে ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করছি ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে, মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে। দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন বলেছেন, বসুন্ধরা কিংস আমাদেরকে দারুণ প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করা। কিংসের স্বপ্নপূরণে আমরা আত্মবিশ্বাসী। তথ্যসূত্র:বণিক বার্তা এমইউ/০২:০৫/১৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2EjPKQL
October 14, 2018 at 08:06PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন