কেউ পাচ্ছেন দুই লাখ, কেউবা হাঁকাচ্ছেন কোটি টাকা। ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়কদের পারিশ্রমিকের ব্যবধানটা এমনই আকাশ পাতাল। নতুনদের মধ্যে পারিশ্রমিক মাত্র দুই লাখ টাকা হলেও দীর্ঘদিন কাজ করেও কেউ কেউ হাতে পাচ্ছেন বড়জোর পাঁচ-ছয় লাখ টাকা। আবার কেউ একসময় চল্লিশ লাখ পেলেও এখন পান লাখ বিশেকের মতো। তারকাদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক মেলানোটা সোজাসাপ্টা সরলরেখায় চলে না। তারকা, পরিচালক ও প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকাই নায়কদের ছবি প্রতি পারিশ্রমিকের একটা সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে- শাকিব খান ঢাকাই সিনেমাতে প্রায় দুই যুগ আগে তার অভিষেক ঘটে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সাত বছরের মাথায় প্রথম ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন তিনি। বর্তমানে তিনিই ঢাকাই ছবির কিং। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ছবি প্রতি এই নায়ক ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। যা ঢাকাই সিনেমার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক এটি। ফেরদৌস র্যাম্প মডেল হিসেবে নব্বইয়ের দশকে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর বুকের ভেতর আগুন শীর্ষক ছবির মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। তিনি দুই বাংলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এই নায়ক আগে ছবিপ্রতি ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেলেও ইদানীং তিনি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে। অনন্ত জলিল খোঁজ-দ্য সার্চ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে অনন্তর। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। সবগুলো ছবিরই প্রযোজক অনন্ত নিজেই। মাঝে কিছু নির্মাতা তাকে দিয়ে ছবি নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাদের সে সময় তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দেন, যদি এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেয়া হয় তাহলে তিনি ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছেন। এদের কেউ কেউ অবশ্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়েছিলেন বলেই অনন্ত জানান। জায়েদ খান পিরোজপুরের ছেলে জায়েদ খান। চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার আশায় অংশ নেন এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমে। সৌভাগ্যক্রমে চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগটাও পেয়ে যান তিনি। আর তাকে এই সুযোগটা করে দেন পিরোজপুরেরই এক প্রযোজক। ছবির নাম ভালোবাসা ভালোবাসা। পরিচালক মুহাম্মদ হান্নান। চলচ্চিত্রে জায়েদ খানের যাত্রা হলো শুরু। এরপর আরো বেশকিছু ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবি প্রতি তার পারিশ্রমিক ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো। ক্ষেত্রবিশেষ তা ওঠানামা করে বলে জানা যায়। আরিফিন শুভ শোবিজে আরিফিন শুভর শুরু র্যাম্প মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি রেডিওতে কথাবন্ধুর কাজও করতেন। এরপর নাটকে অভিনয় করেন। একটা সময় সবকিছুকে বিদায় দিয়ে নিজেকে চলচ্চিত্রের জন্য উপযোগী করে তোলেন। পেয়েছেন সফলতাও। জাগো শীর্ষক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। এরপর বেশকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তিনি ছবিপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। বাপ্পী চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের ছেলে তিনি। ২০১২ সালে ভালোবাসার রঙ শীর্ষক ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। অল্প সময়ের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে দুই ডজনের বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের বিনিময়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। ইমন মডেল ও অভিনেতা তিনি। ২০০৭ সালে দারুচিনি দ্বীপ ছবির মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বেশ কয়েকটি আলোচিত ছবিতে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তিনি ছবিপ্রতি ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে। সাইমন সাদিক ২০১২ সালে জি হুজুর শীর্ষক ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম ছবিতে সাফল্যের মুখ না দেখলেও পরের বছর তার অভিনীত পোড়ামন শীর্ষক ছবিটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি ২০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি ছবিপ্রতি ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পাচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ১৬ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2P3wevY
October 16, 2018 at 04:09PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top