ঢাকা, ১৭ অক্টোবর- এই পুজা তাঁরই। ওপার বাংলায় এক যে ছিল রাজা এবং এপার বাংলায় দেবী মুক্তি পাচ্ছে। দুটি ছবির প্রচারে ব্যস্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান। এ বছর কাজহীন পুজা কাটানোরই ইচ্ছে তাঁর। সে সুযোগ আর পাচ্ছেন কই! দেবী চলচ্চিত্রের প্রমোশনে আজ প্রেস মিটিং কাল কোন পত্রিকা অফিস কিংবা টিভি চ্যানেলে ঢুঁ মারছেন। ফোনে ইন্টারভিউ দিতে হচ্ছে দিনে মিনিমাম পাঁচটা। কত প্রশ্ন কত উত্তর দিচ্ছেন জয়া। নিজের প্রযোজনার প্রথম ছবি বলে কথা। গত দুই বছর পুজায় ছিলেন কলকাতায়। এবারও কলকাতা যাওয়া হতে পারে। এক যে ছিলর মতো আলোচিত ছবি যে মুক্তি পাচ্ছে কলকাতায়। তবে তা খুব অল্প সময়ের জন্য। নিজের প্রযোজনায় প্রথম ছবি দেবী মুক্তি পাচ্ছে যে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ দুর্গাপূজা উদযাপন করছেন। কলকাতার মতো অত বেশি সংখ্যায় না হলেও কয়েকটা পূজা খুব বড় করে হয়। যেমন বনানীর পুজা, ঢাকেশ্বরীর পুজা। আমাদের এখানে যেমন ঈদে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা থাকে। কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তেমনি প্রায় দশদিন ধরে অনুষ্ঠানমালা থাকে। সেটা তো আমরাও বাংলাদেশে বসে দেখতে পারি। পূজা বলতেই তিনি ফিরে যান ছোটবেলার দিনগুলোয়। আমাদের পারিবারিক বন্ধুর বাড়ির পূজায় খুব মজা করতাম। দু-তিন দিন ধরে হুল্লোড়। আর কখন লুচি-লাবড়া খাব, সেই অপেক্ষা করে থাকতাম। ভারতেশ্বরী হোমসের পুজার স্মৃতিও তাঁর কাছে অমলিন। তখন ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি। ক্লাস এইট-নাইনের আপুদের চ্যালা হতাম। চ্যালা হতে পেরেও বেশ আনন্দ লাগতো। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত আমি খুব ছোটখাটো চেহারার ছিলাম। টেবিলের উপরে আমাকে বসিয়ে রাখা হতো। ডাকা হতো ফ্লাওয়ার ভাস বলে। আমার বয়সী সবাই সালোয়ার-কামিজ পরলেও আমার হাফ প্যান্ট পরায় বাধা ছিল না। আর ছোট বলে সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতিও ছিল। আপুদের নিয়ে রাতের বেলা প্রতিমার সামনের ফল-নাড়ু চুরি করে আনতাম। আপুরা এত দুষ্ট ছিল, বলত একটা আঙুল ভেঙে রেখে আসবি, যেন মনে হয়, ঠাকুর এসে খেয়ে গিয়েছে জয়ার মুখে মৃদু হাসি। এপার বাংলায় দেবী নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কলকাতার এক যে ছিল রাজার অবস্থা কী? জানতে চাইলে জয়া বলেন, পিরিয়ড ড্রামা আমার খুব পছন্দের। ইতিহাস নিয়ে আমার খুব আগ্রহ। জানি না, কেন অ্যাকাউন্টস নিয়ে পড়লাম। কখনও মনে হয়, ভুল সময়ে জন্মেছি আমি। মা-বাবার ব্যবহার করা পারফিউমের শিশির তলানিটুকু পড়ে আছে। সেটাও আমি যত্ন করে রেখে দিতাম। পুরনোর প্রতি আমার একটা টান আছে। তাইতো প্রযোজক হিসেবে সেই পুরনো প্রিয় উপন্যাসটিকেই বেছে নিলাম। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ১৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yItxWu
October 18, 2018 at 12:22AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন