নিউইয়র্ক, ৩০ অক্টোবর- এমন বাবার জন্য আমরা কাঁদব না, তুমিও কাঁদবে না। নিউইয়র্কে ফিরে মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছে রাবিয়াহ আলম, ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তীর বড় মেয়ে। ছোট ও বড় পর্দার একসময়ের জনপ্রিয় এই তারকা ১২৪ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে নিউইয়র্কে ফিরে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলম আর ছোট মেয়ে আরিশা আলম। নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শ্রাবন্তী লিখেছেন, সুন্দরভাবে পৌঁছেছি। এখানে ভালোই ঠান্ডা। আমার দুই মেয়ে মহা খুশি। ওদের স্কুল শুরু হবে। নতুন জীবন। সবাই আমার আর আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া করবেন, যেন আর কোনো ঝড় আমাদের তিনজনকে ভেঙে মুচড়ে দিতে না পারে। মেয়েদের কথা বলতে গিয়ে শ্রাবন্তী লিখেছেন, বাবাকে কাছে পেতে ওরা অনেক কষ্ট করেছে। অনেক কষ্ট পেয়েছে। ওরা নিজেরাই এখন ক্লান্ত। ওদের মন খারাপ হয়, কিন্তু বুঝতে দেয় না। উল্টো আমাকে বলছে স্ট্রং হতে। নিউইয়র্কে ফিরে যাওয়ার আগে কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি শ্রাবন্তী। গত ৭ মে তাঁকে তালাকের নোটিশ পাঠান তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তিনি এনটিভির মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) ছিলেন। কাজ করেছেন চ্যানেল নাইনেও। শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। সেখানে থাকতেই স্বামীর পাঠানো তালাকের নোটিশের খবর পান। এরপর গত ২৫ জুন দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন শ্রাবন্তী। স্বামীর সঙ্গে আপস-মীমাংসার জন্য নানা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন শ্রাবন্তী। তবে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তাঁকে যে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, ঢাকার পারিবারিক আদালতের বিচারক দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ইশরাত জাহান তার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদি শ্রাবন্তীর সঙ্গে আর সংসার করতে না চান, তাহলে তাঁর স্বামীকে আবার নতুন করে আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হবে। তবে নিউইয়র্কে ফিরে যাওয়ার আগে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম তাঁর স্ত্রী কিংবা দুই মেয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। গত শুক্রবার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগে শ্রাবন্তী তাঁর ঘনিষ্ঠজন ও নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ব্যাপারে বলেছেন, আমার সব ভালোবাসা আলমের জন্য। আমি অপেক্ষা করব। এখন আমাকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাকে দুই মেয়ের কথা ভাবতে হবে। মোহাম্মদ খোরশেদ আলম যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। চয়নিকা চৌধুরীকে শ্রাবন্তী বলেছেন, এই গ্রিন কার্ডকে অকার্যকর করার জন্য আমি কোনো ব্যবস্থা নেব না। আলম আমার সন্তানদের বাবা। যদি কোনো দিন তাঁর ভুল ভাঙে, ও আবার সন্তানদের কাছে ফিরে আসে। সেই দিনটির জন্য আমি অপেক্ষা করব। সূত্র: প্রথম আলো এইচ/১৩:৩৭/৩০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QcPzrC
October 30, 2018 at 07:38PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন