ঢাকা, ২০ অক্টোবর- একটা সময় এই জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও পেরে উঠতো না বাংলাদেশ। তাদের এখন বলে কয়ে হারিয়ে দিচ্ছে টাইগাররা। কাল থেকে শুরু সিরিজেও স্বভাবতই ফেবারিট বাংলাদেশই। তবে প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ দেখছেন না চোটের কারণে দলের বাইরে ছিটকে পড়া সাকিব আল হাসান। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে, ভুল করলে কিন্তু জিতে যেতে পারে জিম্বাবুয়েও। এবারের সফরে তিনটি ওয়ানডে আর দুটি টেস্ট খেলবে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে কাল মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির, খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। বাংলাদেশের এই দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের শক্তিমত্তায় পার্থক্য কতটা? এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর, আসলে আমার যখন অভিষেক হয়েছিল তখন আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হারতাম। আর এখন ওদের হারাই। তবে আমি এখনও মনে করি, ওদেরকে খুব হালকা করে নেওয়ার কিছু নেই। কারণ এ দলেরও সামর্থ্য আছে। আমরা যদি ভুল করি, তবে সেটাকে কাজে লাগিয়ে জিতে যেতে পারে। আমার মনে হয়, ওদের কেউ হালকা করে নিচ্ছে না, নিবেও না। তবে ভুল করলেও ম্যাচের ভেতরেই ওভারকাম করা সম্ভব। আমার বিশ্বাস আমাদের দলের খেলোয়াড়দের সেই সামর্থ্য আছে। সাকিব নেই, নেই আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তাই জুনিয়রদের উপর অনেক দায়িত্ব থাকছে। তাদের জন্য সাকিবের পরামর্শ কি? দেশসেরা অলরাউন্ডারের অবশ্য এই জুনিয়র-সিনিয়র শব্দগুলোতেই আপত্তি। তিনি বলেন, আমার কাছে জুনিয়র সিনিয়র শব্দটাই পছন্দ হয় না। কারণ আমার কাছে মনে হয়, যারা দলে আছে তারা সবাই খেলার জন্য সামর্থ্যবান। তা না হলে কেউ থাকতো না। এখানে সিনিয়রের কম দায়িত্ব, জুনিয়রের কম দায়িত্ব; এমন কোনো বিষয় নেই। সবার একটা দায়িত্ব কিভাবে দলের হয়ে ম্যাচটা জেতাতে পারবে। সেই চেষ্টা সবাই করবে। কোনোদিন দুই-তিনজন ভালো খেলবে। কোনোদিন চার-পাঁচজন ভালো করবে। একটা ম্যাচে ১১ জন ভালো খেলা খুবই কঠিন। সেটা যদি খেলে তাহলে বাংলাদেশ সব ম্যাচই জিততে পারবে। এ তো গেল সিরিজের ব্যাপার। সাকিবের নিজের অবস্থা কি? হাতের চোট এখন কি অবস্থায় আছে? কবে মাঠে ফিরতে পারবেন? এমন নানা প্রশ্ন ভক্ত-সমর্থকদের মনে। চোট নিয়ে সাকিব বলেন, আমার ইচ্ছার ওপর তো কিছু নির্ভর করছে না। সুস্থ হলে খেলব। এখন সেটার জন্য যতটুকু সময় লাগে ততটুকু নিতে হবে। এখানে জোরাজুরির কোনো সুযোগ নেই। আবার বসে থাকারও সুযোগ নেই। যখন সুস্থ হবো, ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এখন আসলে কোনো আপডেট দিতে পারছি না। এক মাসও হয়নি ইনফেকশন গেল। যদি এক-দেড় মাস যায়, তাহলে বোঝা যাবে যে কি অবস্থা। তবে আগের থেকে অবস্থা ভালো। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১২:১৪/২০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yUh41O
October 21, 2018 at 06:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন