এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটের নিচের সারির দলগুলোর প্রতি ভারতের নাক উঁচু মনোভাব আছে অনেকদিন ধরেই। স্পনসরদের চাপে ইদানিং সেটা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরপর দুটি টেস্ট মাত্র ৩ দিনে শেষ হয়ে গেল। সিরিজটির সম্প্রচার স্বত্ব কেনা স্টার স্পোর্টস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এতে মোটেও খুশি নয়। তারা বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন করবে, যাতে ভবিষ্যতে দ্বিতীয় সারির দলের পক্ষে ভারত একটির বেশি টেস্ট না খেলে। সেই কথিত দ্বিতীয় সারির দল এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের নামও। গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি মাত্র টেস্ট খেলেছিল ভারত। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৭ বছর পর ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছিল টাইগাররা। চলতি বছরের জুনে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একটি টেস্ট খেলে ভারত। স্টার স্পোর্টস কর্মকর্তাদের দাবি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে ২টি টেস্ট খেলা অর্থহীন। আনুষ্ঠানিকতা বজায় রাখতে একটি টেস্টই যথেষ্ট। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল, মোট ৫ বছরের জন্য দেশের মাঠে ভারতের সব আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য টিভি স্বত্ব ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম স্বত্ব কিনেছে স্টার স্পোর্টস। এ জন্য তারা খরচ করেছে ৬১৩৮.১ কোটি রুপি। ৫ বছরে আইসিসি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী দেশের মাঠে ১০২টি ম্যাচ আছে ভারতের। এক একটা ম্যাচ পিছু বোর্ড পাচ্ছে ৬০.১ কোটি রুপি। কিন্তু টেস্ট যদি নিয়ম করে ৩ দিনে শেষ হয়ে যায়, সম্প্রচারকারী চ্যানেলের বিজ্ঞাপন দেখানো থেকে আয় অনেকটাই কমে যায়। বাড়তে থাকে ক্ষতির পরিমাণ। তার ওপর একপেশে টেস্ট ম্যাচে দর্শকদের আগ্রহ না থাকায় টিআরপি রেটিংও বাড়ে না। স্টার স্পোর্টসের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু না বললেও বিসিসিআই কর্মকর্তাদেরকে মৌখিক ভাবে নিজেদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। আগামী বছর আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৯টি দলকে নিয়ে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়াও ভারত দাবি জানিয়েছে, টেস্ট স্বীকৃতি পাওয়া ১২টি দলকে মোট দুটি স্তরে টু-টিয়ার পদ্ধতিতে ভাগ করা হোক। তাহলে ভারতকে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে এই ধরণের সিরিজ খেলতে হবে না। সে ক্ষেত্রে বর্তমান র্যাংকিং অনুযায়ী প্রথম স্তরে থাকবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় স্তরে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মতে, এর ফলে নাকি ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আকর্ষণ বেড়ে যাবে। মূল কথা হলো, বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ডটি আর্থিকভাবে আরও লাভবান হতে থাকবে। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ আরএস/ ১৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PCNIMJ
October 17, 2018 at 07:57PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন