নয়া দিল্লি, ২৭ অক্টোবর- ভারতের হয়ে সফল অধিনায়কদের ক্ষেত্রে বহুবার এমনই হয়েছে। হয় অধিনায়ককে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, নয়তো অধিনায়ক নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে রোহিতের উপর টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। আর এরপর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিরাট কোহলির বিকল্প তৈরি। ভারতের হাতে অধিনায়ক থেকে উইকেটকিপারের বিকল্পের অভাব নেই। পরবর্তী ভাবতে গিয়ে কোথাও যেন আবারও ফিরছে সেই পুরানো ধারা। শুধু একটু অন্যরকম ভাবে। বর্তমান যেন হঠাৎ করেই সাবেক হতে পারেন, এমন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোহলিকে বিশ্রাম দিয়ে রোহিতকে দায়িত্ব দেওয়া সেই জল্পনায় উস্কানি দিচ্ছে। কপিল দেব, ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক পরের বছর ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ড খেলতে ভারতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসে। চতুর্থ টেস্টে দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল কপিলকে। এখনও ক্রিকেটমহলে কান পাতলে শোনা যায় কিভাবে ক্রিকেট রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তিনি। যদিও ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দেন কপিল। পড়ে আবারও অধিনায়কের পদ থেকে ছাঁটাই দেওয়া হয় তাকে। ১৯৮৯ সালে দলের সহ অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় কপিলকে। শচীন টেন্ডুলকার অধিনায়ক হবার পর বুঝে গিয়েছিলেন , তিনি যে টিম চাইছেন তিনি তা পাচ্ছেন না। তার বায়োপিকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার অধিনায়ক হওয়াতে আজহারউদ্দিনের মতো বেশ কিছু ক্রিকেটার যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন। অধিনায়কত্বের কাঁটার মুকুট তার ব্যাটিংয়েও পড়তে শুরু করেছিল। ২০০০ সালে দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। শচীনের অধিনায়কত্বে ভারতের চরম গ্লানির হার শিকারের সেই শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে দলে ছিলেন এমএসকে প্রসাদের মতো চরম খারাপ ক্রিকেটার যিনি আজকের নির্বাচক কমিটির প্রধান। সৌরভ গাঙ্গুলির দল থেকে অপসারণের পদ্ধতি নিয়ে আজও বিতর্ক চলে। রাহুল দ্রাবিড়কে দল থেকে বাদ পড়তে হয়নি। তবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ২০০৭ বিশ্বকাপে টিম কম্বিনেশনে কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের চরম ভুল সিদ্ধান্ত। ভারতের লজ্জার হার। সেই দুঃস্বপ্ন এখনও হয়তো রাহুল দ্রাবিড়ের রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে। অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন রাহুল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভারতকে দিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০১৪ সালে ঘরে বাইরে ভারতের চরম খারাপ পারফরম্যান্স। সংবাদমাধ্যমের চাপ। সফরের মাঝেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক। পড়ে ২০১৬ সালে ছোট ফরম্যাট থেকেও দায়িত্ব ছাড়েন ধোনি। এবার সামনে বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ড সফরে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক সফল। কিন্তু দলের হতাশাজনক পারফর্মেন্স। এশিয়া কাপে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হল। ফুল টাইম দায়িত্ব পেয়েই রোহিত চ্যাম্পিয়ন করলেন ভারতকে। সেই সঙ্গে নিজেরও দুরন্ত পারফর্মেন্স। তখনই ক্রিকেটমহলে গুঞ্জন শুরু হয় তাহলে ছোট ফরম্যাটে কি তবে বিরাট কোহলির ডেপুটি কি তার অধিনায়কের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। জল্পনা সত্যি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-২০ দলের দায়িত্ব আবারও রোহিতের উপর। নিদাহস ট্রফি থেকেই সেই বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়েছিলেন হিটম্যান। এবার বিরাটের উপর থেকে চাপ কমানোর আড়ালে কোথাও না কোথাও বিরাটের অধিনায়কত্বের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তা বলা যেতেই পারে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের আগের অধিনায়ক তথা কিংবদন্তিদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সত্যিই নিকৃষ্টমানের ছিল এবং তা চোখে লাগার মতো। কিন্তু বিসিসিআই এখন কর্পোরেট হয়েছে। কর্পোরেট স্টাইলেই যেন পড়ছে বিরাট চাপ। তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন আরএস/ ২৭ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2CFBb7D
October 28, 2018 at 01:24AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top