ঢাকা, ১৬ অক্টোবর- জেমি ডে চাইছেন, ঘরোয়া কার্যক্রমে জাতীয় দলের ফুটবলাররা নিয়মিত খেলুক। জাতীয় দলের স্কোরিং সমস্যা সমাধানে আপাতত তার বিকল্পও নেই। স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়মিত খেলার সুযোগ করতে গেলে আবার কমাতে হবে বিদেশী ফুটবলারের সংখ্যা। এ জায়গায় ক্লাবগুলোর সামনে অসহায় স্থানীয় ফুটবল সংস্থা (বাফুফে)। গত মৌসুমে প্রতি ক্লাব তিনজন বিদেশী ফুটবলার নিবন্ধন করাতে পেরেছে। একাদশে রাখার সুযোগ ছিল দুজনকে। আসন্ন মৌসুমে বিদেশী নিবন্ধন করানো যাবে চারজন। একজনকে নিতে হবে এশিয়ান কোটায়। একাদশে রাখা যাবে তিনজনকে। এ সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের, বিশেষ করে আক্রমণভাগের ফুটবলারদের খেলার সুযোগ আরো কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কোনো রাখঢাক না রেখে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন, ফুটবল কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের ফিফা-এএফসির গাইডলাইন মানতে হয়। বিদেশী খেলোয়াড় কোটা সম্পর্কে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা বলেন, ফিফা-এএফসির কথা বলে আপনারা আমাদের অনেক কিছু করতে বাধ্য করেন। বিদেশী ফুটবলার ইস্যুতে এএফসির আইনে বলা আছে, চারজন নেয়া যাবে। এখানে কেন ব্যতিক্রম হবে? প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর আক্রমণভাগের প্রথম পছন্দ বিদেশী। অধিকাংশ সময়ই স্থানীয়দের থাকতে হয় সুযোগের অপেক্ষায়। নিয়মিত না খেলার কারণে সুযোগ পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা কাজে লাগাতে পারেন না তারা। যারা নিয়মিত খেলারই সুযোগ পান না, তারা কীভাবে গোল করবেন? এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে জাতীয় দল। এশিয়ান গেমস, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে লাল-সবুজরা দুর্দান্ত ফুটবল খেললেও গোল করতে না পারায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হয় বাংলাদেশ। উত্তর কোরিয়ার কাছে হেরে শেষ হয় এশিয়ান মিশন। ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই দৌড় শেষ হয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের কাছে হারে জেমির দল। ম্যাচগুলোতে রক্ষণ-মাঝমাঠের সমন্বয়ে নিয়মিতই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে দল। ম্যাচগুলোতে উপভোগ্য ফুটবল খেললেও শেষ পর্যন্ত মাথানত করেই মাঠ ছাড়তে হয়। আক্রমণভাগের এ সমস্যা সমাধানই জেমির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথাও বলেন ব্রিটিশ কোচ। বাফুফে সভাপতিকে তিনি বলেন, আমি চাই জাতীয় দলের ফুটবলাররা, বিশেষ করে ফরোয়ার্ডরা নিয়মিত খেলুক। কিন্তু বিদেশী কোটা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ায় জেমির চাওয়া পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। জেমির সহকারী মাসুদ পারভেজ কায়সার বলেন, দেশের স্বার্থে ক্লাবগুলো যাতে স্থানীয়দের বিষয়ে সচেতন থাকে, এ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জেমি নিজেও এ নিয়ে ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। জাতীয় দলের ফুটবলারদের ক্লাব পর্যায়ে নিয়মিত খেলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তার বাইরেও ফুটবলারদের ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাসসহ অনেক বিষয় রয়েছে এখানে। এসব বিষয়ে ক্লাবগুলো সহযোগিতার হাত বাড়ালে জাতীয় দলে আমাদের কাজটাও সহজ হয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষে ছুটিতে গেছেন কোচ। ঘরোয়া ফুটবল কার্যক্রম শুরুর আগেই ফেরার কথা রয়েছে তার। মৌসুমের শুরু থেকেই জাতীয় দলের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা এ কোচের। কিন্তু সে আলোচনায় কি সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে! তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা এমইউ/১১:১৫/১৬ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ymtT5y
October 16, 2018 at 05:16PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top