প্রত্যেক তরুণ ফুটবলারই একদিন উন্নতির চরম শিখরে আরোহণের স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন সাফল্যকে মুঠোয় বন্দি করে বিলাসবহুল জীবনযাপনের। কিন্তু কজন পারেন? খালি তো জেগে জেগে স্বপ্ন দেখলেই হবে না। গ্লামারাস ও আনন্দময় জীবন কাটাতে শৈশব, বাল্য ও কৈশোরকালে পাড়ি দিতে হয় দুর্গম ও বিপদসঙ্কুল পথ। নানা চড়াই-উতরাই ডিঙিয়ে তবেই অর্থ-প্রাচুর্য, যশ-খ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে জীবনধারণ করা যায়। ঠিক এখন যেমন করছেন লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, মোহামেদ সালাহ, হ্যারি কেন, মেসুত ওজিলরা। তা উঠতি বয়সে দেখতে কেমন ছিলেন তারা? কৌতূহলী পাঠকদের চাহিদা নিবৃত্ত করতেই যুগান্তর অনলাইনের এ আয়োজন- ১. ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কৈশোরের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন। এ ক্লাব থেকেই উঠে আসেন তিনি। উঠতে তাকে নিজ শহর পর্তুগালের মাদেইরার মায়া-মমতা ছাড়তে হয়। পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে এখন জুভেন্টাসের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন সিআর সেভেন। ২. স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার যুব দল থেকে উঠে এসেছেন সার্জিও রামোস। এখন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৩. সান্তোষ থেকে উঠে এসেছেন নেইমার। ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই গোটা বিশ্বের নজর কাড়েন। পরে তাকে লুফে নেয় বার্সেলোনা। সেখান থেকে লোভনীয় অর্থে পিএসজিতে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান প্রিন্স। ৪. উঠতি বয়সে ডিফেন্ডার ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। এখন পুরোদস্তুর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসেন তিনি। এখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল চেলসির মধ্যমণি। তাকে পেতে জোরপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৫.২০১১ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ মাতিয়ে নজর কাড়েন মোহামেদ সালাহ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন লিভারপুলের প্রাণভোমরা তিনি। বিশ্ব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র তো বটেই। ৬. মানসম্পন্ন ফুটবলার তৈরিতে বার্সেলোনার লা মেসিয়া একাডেমির জুড়িমেলা ভার। শৈশবে বিরল রোগে ভুগছিলেন মেসি। তবে তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে তাকে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায় বার্সা। এ একাডেমিতেই তাকে ঘষে মজে তৈরি করে। ইতিমধ্যে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ৭. লা মেসিয়ার ছাত্র আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাও। মেসির সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। এখান থেকে ছোট ম্যাজিশিয়ানের মতো নাম লেখান বার্সার মূল দলে। স্পেনকে ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের রূপকার তিনিই। তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৮. হ্যারি কেনের উঠে আসাটা ততটা চমকপ্রদ নয়। তবে প্রতিভা ঈশ্বরপ্রদত্ত। সেই শৈশবে পাড়া-মহল্লায় খেলা থেকে ঝলক দেখিয়ে আসছেন তিনি। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী তিনি। ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম হটস্পারের নীলমণি। ৯. পুচকে ক্লাব শাল্কেতে গড়ে উঠেন মেসুত ওজিল। পরে বুন্দেসলিগা দল ওয়ার্ডার ব্রেমেন থেকে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে আর্সেনালের ডেরায় ভেড়েন তিনি। জার্মানিকে ২০১৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করার মূল কারিগর তিনি। সম্প্রতি অসহযোগিতা, জাতিবিদ্বেষ ওবর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুলে জার্মান জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত এ মিডফিল্ডার। ১০. ২০০৫ সালে হাইস্কুল প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসেন গ্যারেথ বেল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পরে টটেনহাম হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ডেরায় ভেড়েন তিনি। ওয়েলস ফরোয়ার্ড ছিলেন সর্বপ্রথম হান্ড্রেড মিলিয়ন ইউরোম্যান। তথ্যসূত্র: যুগান্তর আরএস/ ১৫ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OXcF8n
October 15, 2018 at 11:01PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন