কলকাতা, ১৩ অক্টোবর- ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া রাজডাঙা নবউদয় সঙ্ঘের দুর্গাপূজা থিম, বাজেট, ধারে-ভারে আর পাঁচটা বারোয়ারি পূজা থেকে ভিন্ন। প্রকাশ্যে অর্থব্যয় কোনো পূজা কমিটি বলতে চায় না। তবে শোনা যাচ্ছে বাজেট ৪০ লাখের মতো। কাঠ, লোহা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে চোখ ধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা আর ফাইবারের মৃম্ময়ী প্রতিমা জানান দিচ্ছে সত্যিই তারা ভিন্ন! শুধু ভিন্নতা এখানেই শেষ নয়, যেখানে সবাই রাজনৈতিক বা বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের নিয়ে উদ্বোধনে ব্যস্ততা দেখায়, সেখানে কলকাতায় নিযুক্ত ১১টি দেশের ডিপ্লোম্যাট প্রধান, সস্ত্রীক একই পোশাকে ফিতে কাটলেন মণ্ডপের। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান সেই ডিপ্ল্যোটদের একজন। তিনি বলেন, অসাধারণ মণ্ডপসজ্জা। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় সাজসজ্জায় ভিন্নতা। নিজে পাঞ্জাবি পরলেও কলকাতার বদৌলতে ধুতি পরলাম জীবনে প্রথমবার। একটা আলাদা অনুভূতি। বেশ ভালোই লাগছে। এবারে রাজডাঙার মণ্ডপ সজ্জার ভাবনা কী? শিল্পী সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, মানুষের মন সর্বদা খুঁজে বেড়ায় অজানা রহস্যকে জানতে। সভ্যতার সূচনা থেকে তাই সে বারবার ছুটেছে না দেখা, অজানার পথে। বরাবর মানুষের কাছে মহাবিশ্ব ও তার বিশালতা হয়ে আছে এক অতল রহস্যের খনি। তাই মানুষের আকর্ষণও বেশি সেই রহস্য সমাধানের জন্য। প্রাণিজগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ সব অজানার অন্ধকার কাটিয়ে প্রমাণ করতে চায় নিজের শ্রেষ্ঠত্বা। মানুষ তাই একদিকে যেমন মহাবিশ্বের সঙ্গে মনের যোগস্থাপন করতে চেয়েছে, অন্যদিকে চেয়েছে সরাসরি সেখানে পৌঁছাতে। ভারতীয়, ইনকা, মিশরীয় প্রভৃতি প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতায় মূল ভাবনাই সৃষ্টির রহস্যকে প্রবলভাবে খোঁজা। তাই নানা পথ ও নানা সময়ের মধ্য দিয়ে মিলিত হতে চেয়েছে সৃষ্টির অধিকারীর সঙ্গে। তেমনই ইঙ্গিত মেলে প্রাচীন সভ্যতাগুলির থেকে। এই প্রবল ইচ্ছার জন্য মানুষ চিরকালই পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে চেয়েছে সমগ্র বিশ্বকে। পাশাপাশি ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে গেছে প্রত্যক্ষ উত্তরণের। মানুষরূপী ভাণ্ডের সঙ্গে ব্রহ্মাণ্ডের এই যে যোগাযোগ স্থাপনের ইচ্ছা ও প্রয়াস, সেটিই তুলে ধরেছি রাজডাঙা নবউদয় সঙ্ঘের পূজামণ্ডপে। সূত্র: বাংলানিউজ২৪ আর/১১:১৪/১৩ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ChbCcW
October 14, 2018 at 05:56AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top