ঢাকা, ০৮ অক্টোবর- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে থাকছেন না আঙুলের চোটের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়া সাকিব আল হাসান। একই কথা দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের বিষয়েও। চোট ছিটকে দিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে মুশফিকের না খেলাটাও নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। পিঠের ইনজুরিতে বিশ্রামে রয়েছেন এই উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান। এদেরকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দল সাজাতে হচ্ছে নির্বাচকদের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন-চার দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত ওয়ানডে সিরিজের দল। ১১ অক্টোবরের মধ্যে দল চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। সাকিব-তামিম-মুশফিকের মত সিনিয়র মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও কমবেশি ইনজুরি রয়েছে। মাশরাফি ভুগছেন ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের সমস্যায়, পাশাপাশি ঊরুতেও রয়েছে চোট। মুশফিকের মত মাহমুদুল্লাহরও রয়েছে পাঁজরের ব্যথা। সঙ্গত কারণেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ দলের পঞ্চ পান্ডব ছাড়াই কী খেলতে যাচ্ছে টাইগাররা? মিরপুরের আকাশে-বাতাসে তেমন গুঞ্জনই ভাসছে। নতুনদের সুযোগ দেয়া হতে পারে পরীক্ষামূলকভাবে। তবে প্রধান নির্বাচক জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হালকা করে নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা সামর্থ্যরে সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করব। কাজেই কাউকে বিশ্রাম দেয়ার প্রশ্ন অবান্তর। এশিয়া কাপে অংশ নেয়া স্কোয়াডকে প্রাধান্য দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচক জানান, আমরা ১৪ জনের দল সাজাতে চাই। তাতে নতুন কারো অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা খুব কম। এশিয়া কাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকা কারোর ঢোকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এশিয়া কাপে মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেলের সাথে চতুর্থ পেসার হিসেবে ছিলেন আবু হায়দার রনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হয়তো দুজন পেসারও খেলানো হতে পারে। স্পিনার কোটায় মেহেদি মিরাজ ও নাজমুল অপু ছিলেন। চার পেসার ও দুই স্পিনার মিলিয়ে ছয়জন প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন দাস নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেছেন। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ এবং হাফ সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুনও থাকবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে। এদের বাইরে বিবেচনায় রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক, আরিফুল হক, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। এদের মাঝে অন্তত দুজনকে বাইরে থাকতে হবে। অবশ্য শান্ত, সৈকত ও মুমিনুলের মাঝে যেকোনো দুজন থাকতে পারেন বাইরে। কারণ, এশিয়া কাপে তাদের পারফরম্যান্স মোটেই সুবিধার ছিল না। সৌম্য ফাইনালে সুযোগ পেয়ে তেমন কিছু করতে না পারলেও শেষ দিকে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। দেশে ফিরে জাতীয় লিগে সেঞ্চুরিও করেছেন সৌম্য। তাই ইমরুল-সৌম্য সরকারের দলে সুযোগ পাওয়াটা অনেকটা নিশ্চিত। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ০৮ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ybjdGV
October 08, 2018 at 09:44PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top