কলকাতা, ৩০ অক্টোবর- দুপুরে ও সন্ধ্যার পরে বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ রেখে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট্স-এর ডাকা এই আন্দোলনে সোমবার তেমন প্রভাব পড়ল না। রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমলেও এ দিন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়নি। দুপুরে রেলস্টেশন, অফিসপাড়া বা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়লেও কোথাও পরিষেবা বন্ধ হয়নি। দুপুরের দিকে শিয়ালদহ কোর্ট, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজার, হাওড়া, বি টি রোড, উল্টোডাঙা, পার্ক সার্কাস, রবীন্দ্র সদন, ধর্মতলা, খিদিরপুর, রাসবিহারী মোড়, টালিগঞ্জ, রুবি, সায়েন্স সিটি, চিংড়িহাটা, বেলেঘাটা, পাঁচ নম্বর সেক্টর-সহ গুরুত্বপূর্ণ বাসস্টপে যাত্রীদের ভিড় ছিল অন্য দিনের মতোই। তবে যাত্রীদের দাবি, নির্ধারিত ব্যবধানের চেয়ে কিছুটা দেরি হলেও দুপুরে বেসরকারি বাস পাওয়া গিয়েছে। তুলনায় দুপুরের দিকে সরকারি বাসের সংখ্যা কম ছিল বলে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ। দুপুর ১টা নাগাদ উল্টোডাঙা থেকে রুবি যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা গোধূলি সাহা। তিনি বলেন, প্রায় মিনিট ১৫ অপেক্ষার পরে বাস পেয়েছি। অন্য দিন ৫-৭ মিনিটের ব্যবধানে বাস পাওয়া যায়। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির একাংশ ছাড়া বাস পরিষেবা আংশিক প্রত্যাহারে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে খবর। ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, জেলার দূরপাল্লার বাস ওই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। তবে রাতের দিকে বেহালা, টালিগঞ্জ, রুবি, রবীন্দ্র সদন, খিদিরপুর, সাঁতরাগাছি, উল্টোডাঙা, নিউ টাউন-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা বেশ কম ছিল বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আগামী বুধবার পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালানোর কথা জানিয়েছিল জয়েন্ট কাউন্সিল। ওই ঘোষণার ফলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বেসরকারি বাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে, মিনিবাস আন্দোলনে অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্ব। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট ও অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতিও এই আন্দোলনে শামিল হয়নি। এ দিন জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গত দাবি আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। কিন্তু পরিষেবা বিপর্যস্ত করতে চাইনি। কোথাও যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে আন্দোলন করা হয়নি। বাসের সংখ্যাও কমেনি। তবে দুপর এবং রাতে বাসের ট্রিপের মধ্যে ব্যবধান বেশি ছিল। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েছে বলে মানতে চাননি। এ দিন পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জয়েন্ট কাউন্সিলের আন্দোলনে বাস পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। ওঁদের সঙ্গে বাস মালিকেরা নেই। সকাল থেকে পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুম খোলা ছিল। ২০০ অতিরিক্ত বাস নামার জন্য তৈরি ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন পড়েনি। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার একে/০৫:১০/৩০ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Q6y9NF
October 30, 2018 at 11:11PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top