ঢাকা, ২৮ অক্টোবর- ঠিক ধুম্রজাল বলা যায় না। তবে শেষ মুহূর্তে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে একটা অন্যরকম শোরগোল! হঠাৎ ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, মুশফিকুর রহিমের সাথে চিটাগাং ভাইকিংসের বনিবনা হয়নি। তাই মুশফিককে প্লেয়ার্স ড্রাফটে দেয়া হবে। প্লেয়ার্স ড্রাফটেই তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডের রাতে এবং কাল সারা দিনও প্রায় এ কথা শোনা গেছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে হঠাৎ বাতাস বদলে গেল। সকাল সকাল রেডিসন হোটেলে চাপা গুঞ্জন-নাহ, প্লেয়ার্স ড্রাফটে আর যেতে হবে না। মুশফিকুর রহিম চিটাগাং ভাইকিংসের এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে খেলবেন। উল্লেখ্য, এবার এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের আইকন ক্রিকেটার বলা হচ্ছে (কার্যত এখন আর আইকন নেই, এ + ক্যাটাগরিই ধর্তব্য)। আগেই জানা, আগের বার রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলা মুশফিক আর পুরোনো দলে নেই। তার বদলে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ রহমানকে এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে দলে নিয়েছে রাজশাহী। তাতেই আগেরবার এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা মুশফিককে ছেড়ে দিয়েছে তারা। যেহেতু পঞ্চ পান্ডবের চারজন-সাকিব ঢাকায়, মাশরাফি রংপুরে, মাহমুদউল্লাহ খুলনায় আর তামিম কুমিল্লায় একদম পাকাপোক্ত। এর বাইরে মোস্তাফিজ রাজশাহীর এ প্লাস ক্যাটাগরির হয়েছেন এবার। সেক্ষেত্রে ঐ ক্যাটাগরিতে মুশফিককে পেতে চেয়েছিল সিলেট সিক্সার্স। তাদের একটা বড় অফারও ছিল। কিন্তু মুশফিক তা গ্রহণ না করায় সিলেট এবার এ প্লাস ক্যাটাগরিতে প্রথম নাম লেখানো লিটন দাসকে দলে নিয়ে নেয়। ছয় দলের এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার চূড়ান্ত হবার পর মুশফিকের সামনে অপশন বলতে ছিল শুধু চিটাগাং ভাইকিংস। তারা শুরুতে মুশফিককে তুলনামুলক কম অফার করে। যা মুশফিকের মনোপুতঃ হয়নি। জানা গেছে, সে অফারটা ছিল ৫০ লাখের। বলার অপেক্ষা রাখো না, এ প্লাস ক্যাটাগরির পারফরমারদের বাজার দর হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ লাখ। তাই প্রথমে মুশফিক তা গ্রহণ করেননি। আর সে কারণেই একমাত্র এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও মুশফিকের প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নেয়ার প্রশ্ন চলে আসে। কিন্তু আজ সকালে বিষয়টা অন্য ভাবে রফা হয়েছে। শেষ অবধি মুশফিক এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবেই চিটাগাং ভাইকিংসে নাম লিখিয়েছেন। এবং এই ক্যাটাগরির সর্বোচ্চ মূল্য ৭৫ লাখ টাকাও পান। জলঘোলা হলো। স্বভাবতই মুশফিক ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হলো বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকেও। আজ রেডিসন হোটেলে প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে বিসিবি বিগ বসের ব্যাখ্যা হলো, আইকনদের (এ+ ক্যাটাগরি) সম বন্টনের জন্যই শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহীমকে চিটাগাং ভাইকিংসে দেয়া হয়েছে। পাপন বলেন, আমাদের সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে এবং সাতজন আইকন আছে। সবসময় যেটি হয় যে, প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি করে আইকন পায়। অন্যদের সুযোগ ছিল রিটেইন করার। দুর্ভাগ্যক্রমে চিটাগাংয়ের রিটেইনের কোন সুযোগ ছিল না। ওদের ওখানে যারা ছিল; যেমন সৌম্য সরকার, সে এখন আইকনই নেই। সুতরাং ওকে সেই সুযোগটিই দেয়া হয়নি। যেহেতু একজন ছিল সুতরাং তাকে সেখানে থাকতে হবে। তা না হলে যদি এমন হতো যে কেউ যদি ঠিক করে- আমরা এই দলে খেলব না, তখন দেখা যাবে সব আইকন একটি দলে চলে যাচ্ছে। এটা তো আসলে হতে পারে না। সমান বন্টনের কথা চিন্তা করে এবং মূলনীতির কথা চিন্তা করে এটিই ছিল সেরা অপশন। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/২৮ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OcEV2q
October 29, 2018 at 06:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন