চট্রগ্রাম, ২৭ অক্টোবর- তিনি বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ, দলের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো ব্যাটিং কি আর আশা করতে পারতেন! সিনিয়র দুই তারকা তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান নেই, সবার দুশ্চিন্তা ছিল টপঅর্ডার নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই দুশ্চিন্তাটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন টপ অর্ডারের লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকাররা। যে যখন সুযোগ পেলেন, রান করলেন। তামিম না থাকায়ই মূলতঃ অভিজ্ঞতার বিচারে দলে আসা ইমরুল কায়েসের। সেই ইমরুলই তিন ম্যাচে করলেন দুটি সেঞ্চুরি আর একটি হাফসেঞ্চুরি। আরেক ওপেনার লিটন দাসেরও সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছিল ৮৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। যদিও বাকি দুই ওয়ানডেতে লিটন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, করেছেন ০ আর ৪ রান। এর মধ্যে শেষ সময়ে একটি মাত্র ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার সেঞ্চুরি করে টপঅর্ডারের লড়াইটা কঠিন করে দিয়েছেন। টপ অর্ডারের এই ব্যাটিং পারফরম্যান্সে স্বভাবতই খুশি ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি। তবে অতি উচ্ছ্বসিত নন প্রোটিয়া এই কোচ। শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়ে বললেন, দুই একটি ইনিংসে ভালো করলেই হবে না, অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের পর টাইগারদের এই কোচ বলেন, আমি এই ধারাবাহিকতাটা দেখতে চাই। কঠোর অনুশীলন, নির্দিষ্ট কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুতি এবং সেইসঙ্গে বোলারদেরও ধারাবাহিক থাকতে হবে। জায়গার জন্য যখন আপনার অনেক প্রতিযোগিতা থাকবে, তখন ধারাবাহিক হতেই হবে। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে পরের ম্যাচগুলোতে শূন্য, শূন্য, পাঁচ, সাত করলে তো হবে না। জায়গার জন্য লড়াই করতে হবে। কদিন আগেও সিনিয়রদের উপর ভর করে চলছিলেন জুনিয়ররা। এখন তারাও সমান তালে পারফর্ম করছেন। এ সম্পর্কে ম্যাকেঞ্জি বলেন, সিনিয়ররাও এক সময় জুনিয়র ছিলেন। আমার মনে হয়, জুনিয়ররা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। সিনিয়রদের দায়িত্ব ছিল তাদের এই সময়টায় সমর্থন দেয়ার। তরুণরা কিছুটা অধারাবাহিক ছিল। সিনিয়ররা দেখিয়েছে কিভাবে এই সময়টা থেকে বের হতে হয়। আমি দলের এই জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখে ভীষণ রোমাঞ্চিত। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের থেকে বড় সেঞ্চুরি আসছে, আসলেই ভালো লাগছে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১২:১৪/২৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2D7GHRm
October 27, 2018 at 08:15PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন