মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল দাস নামের এক চা বিক্রেতা মোবাইল ফোনের কলের মাধ্যমে চা বিক্রয় করে জীবন সংসার চালাচ্ছেন। তিনি উপজেলা সদরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা। ফোন কলে চা বিক্রয় করে চলে তার চার সদস্য বিশিষ্ট সংসার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি ফেরি করে চা বিক্রয় করেন। উপজেলা সদরের পুরান বাজারে একটি দু-তলা ভবনের ছোট একটি রুমে ভাড়া নিয়ে সেখানে চা তৈরি করেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে চায়ের জন্য কল আসা মাত্রই চা নিয়ে হাজির হন ক্রেতাদের পাশে। এভাবে চা বিক্রয় করে আসছেন বিপুল চন্দ্র দাশ। তবে তাকে এলাকায় সবাই বাবু বলে ডাকেন।
জানাযায়, বিপুল দাশ বাবু প্রায় ১০ বছর আগে পত্রিকা বিক্রয় করে চালাতেন তার সংসার। পত্রিকা বিক্রয় ছেড়ে দিয়ে চা বিক্রয় ব্যবসা শুরু করেন। উপজেলা সদরের পুরান বাজার এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ফেরি করে চা বিক্রয় করে থাকেন তিনি। এতে প্রতিদিন তার আয় হয় প্রায় ৬-৭শত টাকা। এ টাকা দিয়েই তিনি সংসার চালান। প্রতি কাপ চা ৫টাকা করে বিক্রয় করেন। তবে তার দোকানে বসে ক্রেতাদের চা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফোন কলে চা বিক্রয় চলে তার। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে পায়ে হেঁটে তিনি চা বিক্রয় করেন। দুধ চা নয়, তিনি কালার চা (লিপটন) বিক্রয় করে থাকেন। এ চা উপজেলা সদরের অনেকের কাছেই প্রিয়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, বিপুল চন্দ্র দাশ একটি প্লাস্টিকের টে’র মধ্যে দুটি কাপে ডাকনা নিয়ে ঘুরে ছুটছেন থানার সামন দিয়ে। এরপর থানার পাশে অবস্থিত সাদ্দাম ডেকোরের্টাসের নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে চা দেয়ার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কলে আসে। অন্য ব্যবসায়ী আরও ৫টি চা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চা রেখে ফোন আসা দোকানে চা দিতে ছুটে যান। এভাবে ফোনে কলের মাধ্যমে চা বিক্রয় করে আসছেন তিনি।
মোবাইল ফোনের কলের মাধ্যমে চা বিক্রয় করার কথা জানিয়ে বিপুল চন্দ্র দাশ জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চা বিক্রয় করে আসছি। প্রতিদিন ১২শত থেকে ১৫শত টাকার চা বিক্রয় হয়। এতে প্রায় অর্ধেক আয় হয়। ওই টাকা দিয়েই চলে আমার সংসার। ফেরি করে চা বিক্রয় করি। দোকানে বসে চা বিক্রয় করার সুযোগ নেই। বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীর কাছে আমার মোবাইল নাম্বার রয়েছে। যখন চায়ের প্রয়োজন, তখনই তারা আমার মোবাইল ফোনে চায়ের জন্য বলে থাকেন। শীত মৌসুমে চা বিক্রয় আরও বেশি হবে বলে তিনি জানান। তিনি নিজে একা চা তৈরি করেন এবং তা ফেরি করে বিক্রয় করে থাকেন বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ পুরান বাজার ব্যবসায়ী আখতার আহমদ বলেন, বাবুকে মোবাইল ফোনে চায়ের জন্য কল করলেই তিনি চা নিয়ে হাজির হন। তার চা খুবই ভাল। উপজেলা সদরের পুরান বাজারের অনেক ব্যবসায়ী তার চা খেতে পছন্দ করেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2yCwfN8
October 14, 2018 at 07:38PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.