অটোরিকশার গ্লাসের টোকেন এখন চালকের পকেটে

cng20170708151737গেল কয়েকদিন পূর্বে ট্রাফিক টোকেনের উপর অনেক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল। প্রশাসনও তৎপর ছিলেন, যার ফলে সব অটোরিকশার সামনের গ্লাসের টোকেনের উপর অভিযান শুরু করেন। এর ফলে গাড়ির গ্লাসের সামন থেকে ট্রাফিক পুলিশ টোকেন উঠিয়ে ফেলে দেয় গাড়ির চালকরা। এখন কোন গাড়ির সামনে এসব টোকেন দেখা যায় না। তবে চোর শুনেনা ধর্মের কাহিনী। তারা অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করছে বলে জানা গেছে। টোকেন কারবারি আলিম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল শামীম, ভূইয়ার পাম্প গং রা গ্লাসের বদৌলতে পকেট টোকেন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দূর্নীতি থামানো যাচ্ছে না।

ট্রাফিক পুলিশ যখন গাড়ি সিগন্যাল করেন, চালক গাড়ি থামিয়ে পকেট থেকে টোকেন দেখালেই ট্রাফিক সাহেব গাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কারণ- টোকেনের সাথে ট্রাফিক পুলিশের সুসম্পর্ক রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের ভিজিট অনেক বেশী বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক গাড়ি চালক। কারণ তারা অনেক রিক্সসে গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন এর জন্য তাদের ভিজিটের পরিমাণ বেশী দিতে হয়।

সিলেটের উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি লাইনের পকেট টোকেন দেওয়া হয় এর মধ্যে- সিলেট – সুনামগঞ্জ, সিলেট- ছাতক, সিলেট – জকিগঞ্জ- বিয়ালে বাজার- গোলাপগঞ্জ, সিলেট – তাজপুর- গোয়ালা বাজার- শেরপুর ও সিলেট – বিশ্বনাথ – জগন্নাথপুর – বৈরাগী বাজার – লামাকাজি – সিঙ্গেরকাছ বাজার। এখন আগের মতো সস্তায় পাওয়া যায় না ট্রাফিক পুলিশ টোকেন। একটি টোকেন সোনার হরিণ মনে হচ্ছে। তবে একজন চালক জানান- অনেক ট্রাফিক পুলিশ এই পকেট টোকেন মানেন না। মোটা অংকের টাকা না দিলে মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় থানায় নিয়ে যান গাড়ি টি, সেখানে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়। আগে পাঁচশ টাকা বা এক হাজার টাকায় সারা মাস চলতে পারতাম, এখন অনেক কষ্টে চলতে হচ্ছে। একবার ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পরলেই সারা মাসের ইনকাম চলে যায়।

আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, পত্র পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে বেশ কিছু লেখালেখি ও প্রচার করার ফলে ট্রাফিক পুলিশের আরো রমরমা ব্যবসা ভালই জমে উঠেছে। তাদের পকেট আগের থেকে অনেক ভারি হয়েছে। সব লাভ এখন ট্রাফিক পুলিশের। গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শত কোটি টাকা ব্যয়ে করে রাস্তা সংস্কার করছে, অন্যদিকে রেজিস্টেশন ছাড়া গাড়ি রোডে চলাচল করে রাস্তা ভেঙ্গে দিচ্ছে। সাথে সাথে তৃতীয় পক্ষ ট্রাফিক পুলিশ ও টোকেন বিক্রেতার পকেট ভারী হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সরকার ও শ্রমিক, লাভ হচ্ছে তৃতীয় পক্ষ পুলিশ ও টোকেন বিক্রেতার। যদি সরকার রেজিস্টেশন হীন গাড়ির রেজিস্টেশন করার সুযোগ করে না দেওয়া হয়, তবে এই সমস্যা দূর হবে না।

রেজিস্টেশন করার সুযোগ করে দিলে সরকার যেমন শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে, তেমনি শ্রমিক ঘোষ দেওয়া থেকে বেঁচে গিয়ে নিজেরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে গাড়ির মালিক নিজেদের গাড়ি বলে বৈধতা পাবে। কমে যাবে ঘোষ দূর্নীতি আগের লেখাতে দেখিয়ে ছিলাম দেশের মধ্যে বিআরটিএ হিসাবে মতে রেজিস্টেশন হীন অটোরিকশা গাড়ির সংখ্যা ২২ হাজার ২৩২টি। যদি একটি গাড়ি রেজিস্টেশন ফ্রি সর্বনিম্ন ১৭ হাজার টাকা হলে ২২ হাজার ২৩২টি গাড়ি ফ্রি বাবত আসে ৩শ ৭৭ কোটি ৯ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি বৎসরে তো রেনুর জন্য প্রতিটি গাড়ি প্রতি সর্বনিম্ন ৭ হাজার টাকা হলে ১শ ৫৫ কোটি ৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা আসবেই। এসব রাজস্ব আয় থেকে সরকার কে বঞ্চিত করছে কে?

মো. ফজল খান লেখক- সাংবাদিক ও আহবায়ক- সচেতন বিশ্বনাথ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2IYo5Dk

October 15, 2018 at 02:42PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top