ঢাকা, ৩০ অক্টোবর- দীর্ঘ সময় কিপিংয়ের পর টেস্টে লম্বা সময় ধরে ব্যাট করা সত্যিই কঠিন। হয়তো এ কারণেই সাবেক কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে কিপিং ছেড়ে মুশফিককে ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। হাথুরুর সময়ে একাধিকবার মুশফিককে কিপিং থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশের শেষ ছয়টি টেস্টে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন মুশফিক। আগামী শনিবার থেকে সিলেটে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সাদা পোশাকের এই ক্রিকেটে কিপিংয়ে ফিরছেন মুশফিক। দলের স্বার্থেই টেস্ট কিপিংয়ে মুশফিকের এই ফেরা। এমনটি জানিয়ে জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার বলেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া অনুসারে কিপিং ছেড়েছিলাম, এখন আবার দলই বলেছে কিপিং করতে। দেখা যাক। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা মুশফিকুর রহিম। কিপিংয়ের চেয়ে মুশফিক ব্যাট হাতে রান করে অবদান রাখবেন এটাই টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া। যে কারণে কিপিংয়ের গুরুদায়িত্ব থেকে মুশফিককে সরিয়ে বিভিন্ন সময়ে, লিটন দাস ও নুরুল হাসানকে দেখে নেয়া হয়েছিল। জাতীয় দল মুশফিকের কাছ থেকে দল ভালো ব্যাটিং প্রত্যাশা করলেও ব্যক্তিতগভাবে তিনি ব্যাটিং এবং কিপিং দুটোই চালিয়ে যেতে চান। মুশফিকের ভাষায়, আমি বিশ্বাস করি, কিপিংটা আমার ব্যাটিংয়ে অনেক সাহায্য করে। পেছন থেকে যখন আমি দেখি, তখন তা ব্যাটিংয়ে অনেক সহায়তা করে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ ৬টি টেস্টে মুশফিক খেলেছেন কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে কিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দেখা যেতে পারে মুশফিককে। কিপিংয়ে ফেরার আভাস দিয়ে মঙ্গলবার সিলেটে মুশফিক বলেন, কিপিং এবং ব্যাটিং কোনোটাতেই আমার আপত্তি নেই। তবে আমার ভালোর জন্য কিপিং ছাড়ার কথা বলেছেন অনেকে। কিন্তু আমি নিজে তো জানি, কোনটায় আমার আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। তথ্যসূত্র: যুগান্তর আরএস/ ৩০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2CPNvCe
October 31, 2018 at 02:07AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন