কলকাতা, ২৫ অক্টোবর- সাঁতরাগাছি স্টেশনে ব্রিজ নির্মাণে গলদের কথা মানল রেল কর্তৃপক্ষ৷বৃহস্পতিবার সাঁতরাগাছিতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি এস মিশ্র সহ একাধিক রেল কর্তারা৷ পরিদর্শনের পর তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন, যাত্রী সংখ্যার তুলনায় অপরিসর ছিল ফুট ওভার ব্রিজটি৷ জেনারেল ম্যানেজারের দাবি, অর্থাভাবের জন্য ব্রিজটির পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি৷ ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ মিটার চওড়া ফুটব্রিজ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ গত মঙ্গলবার সাঁতরাগাছি স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন প্রায় জনা তিরিশেক যাত্রী। পদপিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলির চোটে পড়ে গিয়ে আহত হন কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩ জন।ইতিমধ্যেই রেল উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ এদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ দোষী প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷তিনিও সেদিন পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগই তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রেলের তো কোটি কোটি কাটার বাজেট। ফুট ওভারব্রিজ চওড়া করতে, নতুন করে ফুট ওভারব্রিজ-সাবওয়ে তৈরি করতে কত খরচ হবে? সাঁতরাগাছি স্টেশনের যে পরিকাঠামোর উন্নয়ন দরকার তা মেনে নিয়েছেন রেলকর্তাদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, হাওড়া স্টেশনের বিকল্প টার্মিনাল স্টেশন খুব দরকার। সেই কারণেই সাঁতরাগাছি স্টেশনকে টার্মিনাল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা অর্থাৎ পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সাঁতরাগাছি স্টেশনকে টার্মিনাল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১০-১১ অর্থবর্ষে। সেই মতো ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কাজকর্ম শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ হয়নি। হাওড়া পুরসভার গ্রীণট্রাইবুন্যালে দায়ের করা মামলার কারণে মাঝে প্রায় বছরখানেক বন্ধ ছিল৷ তবে দক্ষিন-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে৷ আশা করছি ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ কী কী তৈরি হবে স্টেশনে? দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ৩৭৯.৭২ কোটি টাকায় দুটি পর্বে কাজ হবে। প্রথম পর্বের কাজের মধ্যে থাকছে, দুটি ফুট ওভারব্রিজ (১২ মিটার চওড়া ও ১৬১ মিটার লম্বা), স্টেশন বিল্ডিংয়ের সামনে প্রায় ২২০ মিটার লম্বা র্যাম্প, প্ল্যাটফর্মগুলির সংস্কার এবং চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সাবওয়ে। এছাড়াও, পার্কিংয়ের জায়গা, জলের ট্যাঙ্কও তৈরি করা হবে। দ্বিতীয় পর্বের কাজের মধ্যে থাকছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত এলিভেটেড র্যাম্প, একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি সহ অন্যান্য কাজ। তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৬:০৮/২৫ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2qa8E2v
October 26, 2018 at 12:09AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন