ঢাকা, ১২ অক্টোবর- এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারাটাই কঠিন। প্রথমে নির্বাচিত হওয়ার একটা বিষয় থাকে। আমরা ছবি জমা দিলেই যে সুযোগ পেয়ে যাই, তা কিন্তু নয়। সব উৎসবে তো যেতেও পারি না। যখন আমরা প্রতিযোগিতার সুযোগ পাই, সেটাও একটা বিশেষ সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, পুরস্কার অর্জন করতে পারি বা না পারি। কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে, আমি নিজেও আশা করিনি। রিলিজিয়ন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হালদা ছবিটি গ্র্যান্ড পিক্স পুরস্কার অর্জনের পর ইতালি থেকে প্রতিবেদককে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। ইতালিতে ৪ থেকে ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ২১তম রিলিজিয়ন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেখানে চলচ্চিত্র বিভাগে প্রতিযোগিতা করে হালদা জয় করে গ্র্যান্ড পিক্স পুরস্কার। ইতালির ট্রেন্টো শহরে উৎসবটির আসর বসেছিল। সেখানে অংশ নিতে আমন্ত্রিত ছিলেন হালদার নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। তৌকীর জানান, ২১তম রিলিজিয়ন টুডে চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসরে ২৮টি দেশের ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব দেশের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বেলজিয়াম, কোরিয়া, ইতালি, ভারত ও আলজেরিয়া। তৌকীর বলেন, সব দেশ থেকে যখন ছবি আসে তখন প্রতিযোগিতাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। সবশেষে যখন আমাদের ছবি বিজয় হয়, তখন বাংলাদেশের নামটাই উচ্চারিত হয়। অনুষ্ঠানে যখন শুনি, ঢাকা-বাংলাদেশ এই জায়গাটা আসলে বেশি ভালো লাগে। দেশকে বহির্বিশ্বে যদি সম্মানের আসনে বসাতে পারি এবং সেটা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে হবে। তৌকীর মনে করেন বাংলাদেশের সিনেমাকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে হলে আরও বেশি বেশি উৎসবে অংশ অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, সবাইকে ছবি নিয়ে উৎসবে যেতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেদের পরিচিত করতে হবে। নিজেদের গল্পটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। আমি মনে করি, সেটা তরুণেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওরা অনেক ভালো করবে আমাদের চেয়েও। অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের পরিচয় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল হবে বলে আমার ধারণা। নির্মাতা অভিনেতা তৌকীর আহমেদের চলচ্চিত্রগুলো দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বরাবরই প্রশংসিত হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় তৌকীর আহমেদ পরিচালিত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হালদাও আন্তর্জাতিকভাবে একের পর এক পুরস্কার অর্জন করছে। এর আগে কসোভোর গডেস অন দ্য থর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা সিনেমাটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ছবিটি। রিলিজিয়ন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে ৫ অক্টোবর তৌকীর আহমেদ ইতালি যান। কাল দেশের উদ্দেশে রওনা করবেন তিনি। তৌকীর বলেন, উৎসবে যেটা আনন্দের হয়, নানা দেশের অতিথিরা আসেন। বিভিন্ন দেশের লোকজনের সঙ্গে চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা হয়সেটাও বড় একটা শিক্ষার জায়গা। আমার মনে হয় যে সে অভিজ্ঞতাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: প্রথম আলো আর/০৮:১৪/১২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NCZNzx
October 12, 2018 at 03:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন